শাহীন খন্দকার: [২] ভারত থেকে ফেরার পর করোনা আক্রান্ত দুই রোগীকে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রি:জে: এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, এই দু’জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ই.১.৬১৭) আছে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জিন সিকোয়েন্সিং রির্পোট আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না।
[৩] তিনি বলেন, এই দু’জনের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংই এখনো করা হয়নি। ফলে তারা সাধারণ করোনাভাইরাস নাকি এর বিশেষ কোনো ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, তা এখনি বলা সম্ভব নয়। শনিবার এ তথ্য জানান এ কে এম নাসির উদ্দিন।
[৪] হাসপাতাল পরিচালক বলেন, সম্প্রতি ভারত ভ্রমণের রেকর্ড আছে এমন দু’জন নারী কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন। আমাদের হাসপাতালে আসার পরে আমরা তাদের ভর্তি করেছি। সম্পর্কে তারা শাশুড়ি-পুত্রবধূ। সমন্বিত সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারত ফেরত করোনা রোগীদের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ১০০ শয্যার বিশেষ ওর্য়াডে ভর্তি করার কথা। তবে তাদের উপসর্গ থাকায় আমরা আলাদা রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।
[৫] এই দু’জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) নমুনা পরীক্ষায় তাদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখনো তাদের নমুনা সিকোয়েন্সিং করা হয়নি। তাই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। সিকোয়েন্সিং হলে জানা যাবে তারা বিশেষ কোনো ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না।
[৬] আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ভারত থেকে কেউ এলেই যে তার মাঝে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে, বিষয়টি এমন নয়। সিকোয়েন্সিং একটি চলমান প্রক্রিয়া। সিকোয়েন্সিং হলেই জানা যাবে, কার মধ্যে কোন ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে।
[৮] অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এ ক্ষেত্রে সবার মাঝেই একই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে এমনটি বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য নয়। তাদের নমুনার সিকোয়েন্সিং চলছে। সিকোয়েন্সিং হলে জানা যাবে তাদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান