ইমদাদুল হক : [২] পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার দিয়াখালি এলাকার একটি ধান খেতের পাশে বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের এ ফুটবল ম্যাচটি আয়োজন করেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বকুল হোসেন সরকার।
[৩] খেলার খবর শুনে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে খেলোয়াড় বা আয়োজক এবং উচ্ছ¡সিত জনতার মুখেই মাস্ক বা স্বাস্থ্য বিধির কোন নিয়ম পালন করতে দেখা যায়নি
[৪] ঈদের দিন হওয়ায় ঘুরতে আসা লোকজনও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে বা বসে খেলা দেখেছেন। এভাবেই হাজার হাজার মানুষ খেলাটি উপভোগ করেন। বেশিরভাগ দর্শণার্থীও ছিলেন মাস্ক ছাড়া।
[৫] জানা গেছে, ষাঁড়-খাসি পুরস্কার ঘোষণা করে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত খেলোয়াড় ফুটবলের প্রীতি ম্যাচটির আয়োজন করা হয়। প্রীতি এ ফুটবল ম্যাচে অবিবাহিত দল বিজয়ী হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে দলটি পেয়ে একটি ষাঁড়। থানা বা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও জানা যায়।
[৬] এ ব্যপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বকুল হোসেন সরকার বলেন, পুরস্কার হিসেবে ষাঁড় আর খাসি রাখা হইছিল। এলাকার মুরব্বি আর পোলাপাইন মিলে আমাকে নিয়ে খেলাটা আয়োজন করছে ৷
[৭] করোনা ঝুঁকির মধ্যে এমন আয়োজন কতটা যৌক্তিক, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনিতে ‘লকডাউনের’ ভেতর কোনো মানুষ নিচে নামে নাই। মানুষ সব ফাঁকা হয়ে দাঁড়াইছে। চারপাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে লোকজন ছিল।
[৮] এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত বলেন, খেলার কোনো সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি বা আমাদের কেউ জানায়নি। এ সময়ে এমন কিছু করতে হলে অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে।
[৯] সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, এ সময় সবধরনের গণজমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এগুলো করা যাবে না। সম্পাদনা : টিএম হুদা