শাহীন খন্দকার: [২] ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন আজ শুক্রবার (১৪ মে) এ তথ্য জানান।
[৩] পরিচালক বলেন, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশী দু’জনের দেহে আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা ‘বি.১.১৬৭’ ভাইরাস পেয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের টেস্ট হাসপাতাল (বক্ষব্যাধি হাসপাতাল)পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের আমরা কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছি।
[৪] এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন,সময়টা যেহেতু চ্যালেঞ্জিং,কোভিড রোগীদের নিয়ে কাজ করছি তাই প্রতি মুহূর্তেই নিজেদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। কোভিড রোগীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের সবারই করোনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
[৫] সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভারতে প্রথম শনাক্ত ‘বি.১.১৬৭’ নামে করোনার ধরনটি বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন,ভারতীয় এই ধরনটি 'বি.১.১৬৭' নামে পরিচিত যা অতি সংক্রামক বলে বিভিন্ন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। পরিচালক সতর্ক করে বলেছেন যে করোনার এ ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি তাই সবাইকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
[৬] এদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে দেশে ফেরা তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থাকা অবস্থায় তাঁদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। আজ শুক্রবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের দেহে যে ভাইরাস পাওয়া গেছে তা ভারতীয় কি না, জানার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর-এ নমুনা পাঠানো হবে, বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :