শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২১, ০৫:০৭ বিকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০২১, ১২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]ভিক্ষার টাহা জোমাইয়া দুইজন দুইজনের জামা কিইন্যা দিছি

ডেস্ক নিউজ : [২]সকালে খাবার হোটেল থেকে পরোটা কিনে খেয়ে ঈদের দিনের যাত্রা শুরু, এরপর স্ত্রী হালিমাকে বরিশাল নদীবন্দরে রেখে নগরের গোরস্থান রোড মসজিদে ভিক্ষার জন্য যান চাঁদপুরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী আকাশ। ফিরে এসে ভিক্ষার টাকা জমিয়ে কেনা নতুন পোশাক পরে দু’জনে অপক্ষোয় ছিলেন দুপুরের খাবারের।

[৩] স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্যোগে শুক্রবার নদীবন্দরে মুরগির রোস্ট ও পোলাওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা খেয়ে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাটের মেয়ে হালিমা ও তার স্বামী আকাশের হাত ধরে হাসিমাখা মুখে চোখে চশমা হাঁকিয়ে পায়ে হেঁটে গোটা নগর ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন। তবে, এর আগে গোটা দুপুরজুড়েই নতুন পোশাকে এই দম্পতির ঈদ উদযাপনের আনন্দ আলোড়ন সৃষ্টি করে গোটা নদীবন্দর এলাকায়।

[৪] শারীরিক প্রতিবন্ধী আকাশ স্বাভাবিকভাবে কথা না বলতে পারলেও আজকের এই ঈদের দিনে নতুন পোশাকে তার আনন্দের কোনো কমতি ছিলো না।

[৫] তার স্ত্রী হালিমা বলেন, ভিক্ষার টাহা জোমাইয়া দুইজন দুইজনের জামা কিইন্যা দিছি। আকাশ মোরে ঈদে থ্রি-পিস কিইন্যা দিছে আর মুই পাঞ্জাবি কিইন্যা দিছি আকাশে। যা গায় দিয়া ঘুরতে বাইর হইছি। আজকে পায়ে হাইট্টাই পুরা শহর ঘুরমু।

[৬] তিনি বলেন, আকাশের বাবা-মা কেউ নেই, আর তার (হালিমার) মা থেকেও নেই। একসময় আমি বরিশাল নদীবন্দরে ডিম বিক্রির কাজ করতাম। তিন বছর আগে আকাশ আর প্রেমে পড়েন এবং আমার কাছাকাছি ঘুরতেন। এরপর আমাকে (হালিমাকে) যে ভালোবাসে তার প্রমাণ দিতে একবার আকাশ অটোরিকশার চাকার নিচেও মাথা দিয়েছিলেন। এরপর ঘাটের লোকজনই আমাদের বিয়ে দেয়। বিয়ের পর আমি কিছু না করলেও আকাশ ভিক্ষা করেন। যা দিয়ে তাদের দু’জনের পেট চলে যায়।

[৭] হালিমা বলেন, সত্য কইতে আকাশ মোরে অনেক ভালো পায়। মোগো কোনো বাড়িঘর নাই, হ্যার লইগ্যা লঞ্চঘাডেই মোরা থাকতাছি। রমজানে সাংবাদিকরা প্রত্যেক রাইতে খাওন দেছে, যা খাইয়্যা দিন কাডাইছি। হ্যার লইগ্যা রোজায় কিছু রান্না না হরলেও এমনে দিনের বেলা এহানেই কোনো জায়গায় খাওন রান্দি। আবার টাহা থাকলে কোনো দিনে হোটেল দিয়া কিইন্যাও খাই, কোনো দিন কেই খাওন দেয়।

[৮] তিনি বলেন, বিয়ার তিন বছরে দুইড্যা বাচ্চা হইছিলো। কিন্তু দুইডাই জন্মের কয়দিন পর ঠাণ্ডা লাইগ্যা মইরা গ্যাছে। কিন্তু আকাশ মোরে এত ভালো পায় যে, ঝগড়াঝাডি হইলেও মোরে ছাইড়্যা যায় ন। মুই ও অরে অনেক ভালো পাই, আকাশও মোরে অনেক ভালো পায়। সূত্র: বাংলানিউজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়