সুজন কৈরী : [২] রাজধানী থেকে চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধারসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোখলেছুর রহমান বাবুল (৫১)। বুধবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পূর্ব আরীচপুর মদিনাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এডিসি এসএম রেজাউল হক বলেন, গত ৭ মে দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা চুরি হয়। ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে দারুস সালাম থানায় মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সিএনজি চুরি চক্রের সদস্যের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া সিএনজি উদ্ধার করা হয়। তাকে দারুসসালাম থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
[৪] এদিকে উত্তরায় ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) দিয়ে অভিনব কায়দায় গাড়ির দরজা খুলে চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- হালিম ব্যাপারী ওরফে কামাল হোসেন (৬৮) ও নূরে আলম সিদ্দিকী সোহান ওরফে শুকুর (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র, আইডি কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, সিমসহ একটি মোবাইল ফোনসেট, দুটি পেনড্রাইভ ও নগদ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
[৫] উত্তরা বিভাগের এডিসি মো. কামরুজ্জামান সরদার জানান, গত ৬ মে বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের দরজার লক ভেঙে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
[৬] অভিযানকালে সংগৃহীত সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে চেহারার মিল পাওয়ায় বুধবার ভোরে উত্তরা পশ্চিম থানার জমজম টাওয়ার এলাকা থেকে হালিম ব্যাপারি ওরফে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে বংশাল এলাকা থেকে নূরে আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া মালামালগুলো তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর, রমনা ও কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
[৭] গ্রেপ্তারকৃতদের অপরাধ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান সরদার বলেন, এ চক্রের সদস্যদের একজন একাধিক মাস্টার কি সঙ্গে রাখেন। অপর এক সদস্য হাতে ব্যাগ নিয়ে পথচারী সেজে চুরির কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করে। এ চক্রের আরেক সদস্য ছাতা বা অন্য কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে নিয়ে মাস্টার কি বহনকারী সদস্যকে আড়াল করে রাখে। মাস্টার কি বহনকারী সদস্য অভিনব কায়দায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ির দরজা খুলে চুরির কাজ শেষ করে।
আপনার মতামত লিখুন :