মনিরুল ইসলাম: [২] গাছ কাটা বন্ধ করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
[৩] তারা সরকারের বিধিমালা অনুযায়ী উদ্যানের মধ্যে কংক্রিট ও অন্যান্য স্থাপনা ৫ শতাংশের বেশি না রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
[৪] বুধবার ভূমি-বন-বনবাসী রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এই দাবি জানান তারা।
[৫] নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তৃতা করেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরীন, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব, গাছ কাটার বিরুদ্ধে রিটকারী আইনজীবি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব তারিক মিঠুল, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল, জনউদ্যোগের লুনা নুর, গ্রীণ ভয়েসের আলমগীর কবীর, আদিবাসী ফোরামের হরেন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ।
[৬] পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, সরকারে যে থাকুক তাকে অন্ধভাবে দেশ চালাতে দেওয়া যাবে না। লোভের কারণে ইতিহাস মুছে যাবে তা হতে দেওয়া যাবে না। এই জায়গা (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ধ্বংস হলে বঙ্গবন্ধু, জাহানারা ইমামসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধ্বংস হবে।
[৭] আলোচনার সূত্রপাত করে ড. জোবাইদা নাসরীন বলেন, অক্সিজেনের জন্য আমরা লড়াই করছি। অথচ সুন্দরবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ওসমানী উদ্যান, মধুপুরের শালবন ও পাহাড়ে বন ধ্বংস করে হোটেল নির্মাণের মাধ্যমে অক্সিজেন সংকট তৈরি করছি।
[৮] খুশী কবির বলেন, গাছ কাটার মূল উদ্দেশ্যটি হচ্ছে বাণিজ্যিক ও টাকা বানানো। নানাভাবে পেচিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে এই প্রকল্পগুলো করা হয়, যার পেছনে কিছু মানুষের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। তাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানটি রক্ষার জন্য নতুন প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে।
[৯] অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, উদ্যানের কোনো ক্যারেক্টার পরিবর্তন করা যাবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেহেতু ডিকলার্ড উদ্যান। তাই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়েছে, যে কোনো রূপ বৃক্ষরাজির নিধনকেও শ্রেণী পরিবর্তন হিসাবে গণ্য করা হবে। গাছ যদি কাটা হয় তাহলে উদ্যান ধ্বংস হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও আইনে বলা আছে।
[১০] স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, গাছ কেটে সাফ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘উন্নয়ন’ দাঁড় করানো হচ্ছে। এ বিষয়টির পেছনে তিনটি মন্ত্রণালয় রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :