জিএম মিজান : [২] জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিট অভিযান চালিয়ে প্রতারণা অভিযোগে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা থেকে দেওয়ান আরিফুর রহমান আরিফ (৩৮) নামে তথ্য প্রযুক্তি লীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে।
[৩] গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় দিকে তাকে শহরের হাউজিং এস্টেটের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আরিফ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মৃত দেওয়ান আক্তারের ছেলে ও গাইবান্ধা জেলা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি। এ ছাড়া বগুড়া শহরের হাউজিং এস্টেটের পদ্মা ভবনে তার নামে একটি ফ্লাট রয়েছে।
[৪] জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিট সূত্রে জানা যায়, আরিফ মূলত প্রেমের ফাঁদ ফেলে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিতেন। এমনকি বিভিন্ন লোকের টাকাও হাতিয়েছেন তিনি। গত ২ এপ্রিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এমন একটি অভিযোগ আসে আমাদের কাছে। সেই অভিযোগ তদন্ত করে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর একটি অভিযান পরিচালনা করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিট । অভিযানে শহরের হাউজিং এস্টেটের সেই বাসভবন থেকে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
[৫] গ্রেফতারের পর আরিফের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইলসহ একাধিক সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। এই দুইটি মোবাইলে বহুসংখ্যক মেইল এবং ফেসবুক একাউন্ট পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও তার কাছে পাওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড জব্দ হয়। পুলিশ আরও জানায়, আরিফ নিয়মিত অভিযোগকারীসহ তার সংগঠন ও প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের ফোন ট্র্যাক করতেন।
[৬] গাইবান্ধা জেলা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মাজেদ সরকার জানায় আরিফ তার সংগঠনের সহসভাপতি এবং তথ্য প্রযুক্তি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। ফোন ট্র্যাকের বিষয়ে আব্দুল মাজেদ বলেন, আরিফ তার ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন ট্র্যাক করতেন। কিন্তু আমাদের ফোনও যে ট্র্যাক করতেন এটা আমাদের জানা ছিল না। আরিফ কয়েকমাস ধরে আমাদের সংগঠনের সাথে জড়িত। তার প্রতারণার বিষয়টি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর জানতে পারলাম।
[৭] জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিটের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন এ প্রতিবেদক-কে বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনি প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে নিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :