এম.ইউছুপ রেজা : [২] মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করতে তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার আসামিদের তিন লাখ টাকা দেন।  আদালতে দেওয়া দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআইয়ের তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়াও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ও নতুন মামলায় লেনদেনের কথা উল্লেখ আছে।

[৩] বুধবার (১২ মে) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন,  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, বাবুল আকতার স্ত্রীকে হত্যা করার তিন দিন পর তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন, তার লাভের অংশ থেকে তাকে যেন টাকা তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়।

[৪] বাবুল এই টাকা সাইফুলের কাছে থেকে নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা আবার মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

[৫] তিনি আরও বলেন, মিতু হত্যার মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মূছা ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পরপর তিনি দাবি করেছিলেন, জঙ্গিরা জড়িত। তার সোর্সকে তিনি চিনলেও বিষয়টি চেপে যান। ভুলেও তিনি সাইফুল হকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মুসা ও ওয়াসিমসহ আসামিদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেননি।

[৬] ঢাকার পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার (১২ মে) সকালে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নতুন আরেকটি মামলা বুধবার (১২ মে) দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আগের মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ