তরমুজ চাষি মোশারফ হোসেন জানান, শখ করে এ জাতের তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। ৬০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা আর বিক্রি করেছেন ১ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা। এখনো মাঠে রয়েছে অনেক তরমুজ। তিনি এবারই প্রথম এ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন, প্রথম বছরে খরচ একটু বেশি হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে মাচাসহ কাঠামো থেকে যাওয়ায় খরচ অনেক কমে আসবে। সাধারণত শীতকালে বীজ রোপণ করে বর্ষা মৌসুমের আগেই কেনাবেচা শেষ হয়।
তিনি আরো জানান, এ জাতের তরমুজ বছরে ২ বার হয়ে থাকে। বছরের মাঘ মাসের দিকে রোপণ করা হয়। আবার একই বছরের ভাদ্র আশ্বিন মাসে রোপণ করা হয়। প্রতিবারই ৬০-৭০ দিনের মধ্যে তরমুজ ঘরে চলে আসে। তিনি মাঘ মাসের দিকে তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ বীজ রোপণ করেন। রোপণের ৩০/৩৫ দিনের মধ্যে মাচায় উঠে যাওয়া গাছে ব্যাপকভাবে ফুল ও কুড়ি চলে আসে। এরপর ৬০-৭০ দিনের মাথায় ফসল ঘরে আসতে শুরু হয়। স্বাদেও অতুলনীয় বলে বাজারে এ তরমুজের ব্যাপক চাহিদা। তরমুজের ওজন ২ কেজি থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটা তরমুজ ১০০- ৪০০ টাকা বিক্রি করছেন বলে জানান মোশারফ হোসেন।
ব্যতিক্রমী এ তরমুজ চাষ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, এটা একটি নতুন প্রযুক্তি, এলাকায় একেবারেই নতুন চাষ। এর ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হবে। কৃষকদের পাশে থেকে সব সময় প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে যাবেন যাতে করে এ তরমুজ চাষে অন্যান্য কৃষকেরা উৎসাহ পায়। ইতিমধ্যে এ কৃষককে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ডিবিসি