জেরিন আহমেদ : [২] হাসপাতালের এক কর্মীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফলে ইতালির ২৩ বছরের ওই তরুণীকে এমনই অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি ভালো থাকলেও, শঙ্কা মুক্ত বলে জানা গেছে।
[৩] সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, কোনো ধরনের বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ২৩ বছর বয়সী ওই নারী হাসপাতাল থেকে সোমবার বাড়ি গেছেন। গত রোববার সকালে টাসকানি এলাকার নোয়া হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ভুল বুঝতে পেরে ওই নারীকে জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
[৪] চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাকে প্রচুর তরল পদার্থ, জ্বরের ওষুধ এবং প্রদাহরোধী প্রতিষেধক দেয়া হয়।
[৫] যেভাবে হল এমন ভুল: প্রতিটি ভায়ালে সাধারণত ছয় ডোজ টিকা থাকে। এগুলো পৃথক করে আলাদা-আলাদা ভায়ালে নেয়া হয়। ওই নার্স ভুল করে ডোজগুলো একটি শিশিতে মিশিয়ে ফেলেন!
[৬] শিশিগুলোর ভেতরে ফাইজারের টিকা আছে কি না, সেটি খালি চোখে বুঝতে কিছুটা সময় লাগে। সব শিশিই দূর থেকে স্বচ্ছ মনে হয়। ওই নার্স ভেবেছিলেন শিশিগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ছয়টি ডোজের আলাদা-আলাদা শিশিতে সিরিঞ্জ দিয়ে লিকুইড বের করে একটিতে ভরে ফেলেন। পরে ভুলে সেই শিশি থেকেই টিকা প্রত্যাশী ওই নারীকে পুশ করেন।
[৭] ফাইজারের টিকা ট্রায়ালে সর্বোচ্চ পাঁচ ডোজ নেয়ার নজির আছে। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে এই ভুলের কারণে ওই নারীর দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা হবে কি না, সেটি নিয়ে শঙ্কা কাটেনি। ইসরায়েল এবং জার্মানিতেও একই ধরনের ভুল হয়েছিল। দেশ দুটিতে ভুল করে একজনকে পাঁচ ডোজ টিকা দেয়া হয়। তাদের এখনো কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। সূত্র: টুডে নিউজ, সিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :