শরীফ শাওন: [২] বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) জানায়, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার স্থাপন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়াও এমন সিদ্ধান্তে উচ্চশিক্ষায় বৈষম্য সৃষ্টি হবে।
[৩] মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে এপিইউবি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট আইন-১৮৮২ অধীন অলাভজন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়। অপরদিকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস/ স্টাডি সেন্টার কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীন তা লাভজন প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
[৪] এপিইউবি চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, এসকল শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হবে না মর্মে আশ্বস্ত করা হলেও গত ২৫ ফেব্রুয়ারি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আকর্ষিক অনুমোদন দেয়া হয়।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল গঠন, শিক্ষাথীদের কোটা ও বৃত্তি প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ নানা বিধি থাকলেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিধিমালা রাখা হয়নি।
[৬] উচ্চশিক্ষায় জাতীয় দ্বৈতনীতি কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। এছাড়াও নিম্নমানের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সর্বস্ব ক্যাম্পাস পরিচালনার মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের আশংকা রয়েছে।
[৭] সম্প্রতি মোনাস কলেজের (অস্ট্রেলিয়া) শাখা স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দেওয়ার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
আপনার মতামত লিখুন :