ইমরুল শাহেদ: মাত্র ক’দিন আগে মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান দিয়েছেন, এই প্রজন্মের কোনো রেইটেড নায়ক তার সঙ্গে কাজ করতে চান না। তারা সিন্ডিকেট তৈরি করে কাজ করছেন। এজন্য তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি নতুনদের সঙ্গেই কাজ করবেন। তিনি স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, তার বিপরীতে যে নবাগত কাজ করবে তাকে শাহরিনের সুবাদে অন্তত দু’চারজন তো উক্ত নবাগতকে চিনতে পারবে। এভাবে নতুন তারকা তৈরি হবে।
এ ব্যাপারে তার সিন্ডিকেটের ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ফোন করা হলে তিনি বলেন, স্ট্যাটাসে যা বলেছেন তার চাইতে বেশি কিছু তিনি বলতে চান না। তার স্ট্যাটাসটিকে ভিত্তি করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ফারিয়া শাহরিন স্ট্যাটাসে যা লিখেছেন তা যদি তিনি মেনে চলেন তাহলে তাকে কাজ করতে আগ্রহী।
টিভি জগতে সিন্ডিকেট কথাটি বেশ প্রবল। কয়েকজন টিভি তারকা তথাকথিত টিআরপির অজুহাত তুলে প্রযোজকদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা যেমন নিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি তাদের কয়েকজনের বাইরে নির্মাতারা কাস্টিং করতে গেলেই কাজে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু তাদের বাদ দিয়েও নাটক নির্মাণ করা যেতে পারে। মোশাররফ করিম একটি ছবির কাজে কলকাতা গিয়ে আটকে পড়েছেন অনেকদিন থেকে। তার বেশ কিছু ঈদের নাটকে কাজ করার কথা ছিল না।
তিনি যেহেতু দেশে নেই, নির্মাতারা সেহেতু অন্যদের নিয়ে কাজ করেছেন। নাটকের কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন সিন্ডিকেট আছে, তেমনি নাটকের ব্যবসার ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাদের কাছে নাটক বিক্রির জন্য গেলে আগেই জিগগ্যেস করেন, সংশ্লিষ্ট নাটকে কারা রয়েছেন। তাদের মন:পূত না হলেই আর নাটক কিনতে চান না। টিভি চ্যানেলগুলোও স্পন্সরের ধূয়া তুলে নাটক প্রচার করতে রাজী হন না। স্বাভাবিকভাবেই নতুন শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। তথাকথিত টিআরপি এবং সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল না হলে দর্শক টিভি কখনোই ভালো কাজ পাবে না এবং এক ঘেঁয়েমির হাত থেকে রক্ষাও পাবেন না। উল্লেখ করার বিষয় হলো, কিছু টিভি দর্শক সরে যাচ্ছে ইউটিউবের দিকে। তারা চায় নতুন মুখ, নতুন কনটেন্টস। হাতের এনড্রয়েডেই খুঁজে নিচ্ছে বিনোদন।
আপনার মতামত লিখুন :