শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০২১, ১০:৪০ দুপুর
আপডেট : ১১ মে, ২০২১, ১০:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় অজ্ঞানপার্টি হালুয়া ও জুস খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে চক্রটি

মাসুদ আলম : [২] হকারের বেশে বাসে ওঠে তারা। বিনামূল্যে খাওয়ানো হয় বাত-ব্যথার ওষুধ কিংবা শক্তিবর্ধক হালুয়া। কখনো আবার সহযাত্রীর সঙ্গে ভাব জমিয়ে সুযোগ বুঝে চেতনানাশক ওষুধ ও নেশাজাতীয় হালুয়া খাইয়ে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে। অজ্ঞান ও মলম পার্টির চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে ডিবি পুলিশ।

[৩] ওষুধের দোকানে আসা ইমরানের ওপর নজর গোয়েন্দাদের। ওষুধ কিনে বের হয়ে তিনি প্রবেশ করেন রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি বাড়িতে। অতি উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধসহ তাকে হাতে নাতে গ্রেপ্ততার করা হয়। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অজ্ঞান পার্টির অন্যতম হোতা ইমরান হাজি সম্পর্কে পুলিশের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল।
উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ, মধু ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের মিশেলে মিনিটি দুয়েকের মধ্যে ইমারন তৈরি করে ফেলেন বিশেষ হালুয়া। পরে তা প্যাকেটজাত করে আয়ুর্বেদিক শক্তিবর্ধক হিসেবে বিক্রি করা হয়। কখনো জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তৈরি করেন বিশেষ চেতনানাশক।

[৪]রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিরাই মূল টার্গেট ইমরানের। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান বলেন, দেখে যদি মনে হয় তার কাছে টাকা-পয়সা আছে। তাকে টার্গেট করে তার পাশে বসে পড়েন। পরে তাকে চেতনানাশক মেশানো জুসটা খাওয়াই আর ভালোটা আমি খাই। ইমরান ১৫ বছর এ পেশায়।

[৫] ইফতারের ঠিক আগে তিন থেকে চার সদস্যের একটি দল উঠে পড়ে বাসে। চক্রের মূল হোতা ইমরান হকার পরিচয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধের প্রচার করতে থাকেন। কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় ওষুধ। খাওয়ার পর নিশ্চিত অজ্ঞান। চক্রের বাকি সদস্যরা ভাব জমাতে থাকেন সহযাত্রীদের সঙ্গে। ইফতারের সময় অফার করা হয় ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস। বেহুশ হওয়ার পর ছিনিয়ে নেওয়া হয় সব।ইমরানের দেওয়া তথ্যে একটি বাসে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে।

[৬] ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, উচ্চমাত্রার এসব চেতনানাশক খাওয়ার পর অনেকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।ধর্মীয় উৎসবে বাসে বিপুল পরিমাণ মানুষের যাতায়াত হয়। এ সময়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বিশেষ হালুয়া ও জুস খাইয়ে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়