শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০২১, ০৫:৪৩ সকাল
আপডেট : ১১ মে, ২০২১, ০৫:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তানিয়া তাসলিমা: অদম্য, অফুরান প্রাণশক্তি মায়ের এগিয়ে যাওয়ার গল্প

তানিয়া তাসলিমা: আমার মা, আমার আম্মু, এতো স্পিডি মানুষ কেমনে হয় আমি জানি না, ছোটবেলা থেকেই আমার বাবার পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে এসেছেন, আমাদের বাড়িতে তখন ৩০/৪০ জন মানুষ এই ছাড়াও আব্বুর রাজনৈতিক কতো শত মানুষ থাকতো এখন হিসেব করা কঠিন, এত্ত বড় সংসার সামলিয়ে আমার বাবার ব্যবসা, আম্মুর নিজের ব্যবসা, সাথে আমাদের চার ভাইবোনকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বড় করা, আমি নাচ শিখেছি, বড় আপু গান, প্রত্যেক সপ্তাহে নওগাঁ থেকে ঢাকা রাজশাহী করতো আমার আম্মু আমাদের নিয়ে, তখন কি বিরক্তই না হতাম, আর এখন নিজের মেয়েকে নাচ শেখানোর জন্য টাইম আমি বের করতে পারি না, কী করে পারতো আম্মু...! বিস্ময় লাগে এখন।

আমার মা এক মহিয়ষী নারী, এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে যার বিয়ে হয়ে যায়, এমন বিশাল বংশের বড় বউ হয়ে, কিন্তু দমে যাননি তিনি, আমার আব্বুর উৎসাহে এসএসসি ও এইচএসসি কম্পলিট করলেন। সবাই মনে করলো কী আর করবে দৌড় এতোটুকুই, কিন্তু সবার জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমার মা আমার আপুর সাথে মাস্টার্স কম্পলিট করলেন খুব ভালো রেজাল্ট এর সাথে..আমার মা এখন এলএলবি পড়ছে, করোনার জন্য তার ফুসফুস ৭৫ শতাংশ ক্ষতি  হয়েছে তাতে কী? কিছুদিন আগে এসে আমাকে বলে খুব কাচুমাচু করে মা আমার ফাইনাল পরীক্ষা, আমি পরীক্ষা দিতে চাই...আমি কিছুক্ষণ হা করে তার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলাম, এই মহিলা বলে কী? এখনো অক্সিজেন চলে...তার...। আমি পেছনে তাকাইলে আমার মার  এসব কাণ্ড দেখলে অবাক হই, কী করে এতো কিছু পারে আম্মু...।

অফুরান প্রাণশক্তি এই মানুষটার, একবার হাত ভেঙে প্রায় নেই হয়ে গিয়েছিলো, এই বয়সে নিজের চেষ্টায় হাত ঠিক করলেন, ডাক্তারও প্রায় অবাক! এখন সেই ভাঙা  হাতে কবিতা লেখেন, আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ি আমার মায়ের লিখা কবিতা। ‘প্রার্থনা’ নিলুফা ফরহাদ আজাদী (আমার আম্মু) পৃথিবীটা জুড়ে বৃষ্টি হোক মেঘেদের জমাট বাঁধা কষ্ট বৃষ্টি হয়ে ঝড়ুক তারা কাঁদুক অসুস্থ পৃথিবীটার যতো ক্লান্তি, অবসাদ ধুয়ে দিয়ে যাক। পৃথিবীর বুকে শান্তির বারি ঝড়ুক শেত কমল আর কদম বৃষ্টিতে ভিজুক নীলকমল, চন্দ্রমল্লিকা, বাসরলতা, তারাও ভিজে যাক। শেফালির বোঁটায় একফোঁটা বৃষ্টি জমুক ঘাসগুলো সতেজ হোক। ঘাসের ডগায় শিশিরের মুক্তো জমুক ক্ষনিক। বন টিয়া আর মাছরাঙা ভিজে যাক। ব্যাঙেরা বৃষ্টিতে ভিজে খেলা করুক। ঠান্ডা লেগে ওদের শর্দি হোক। এখন এমন মুশলধারে বৃষ্টি নামুক। তোমাকে আর আমাকেও ভিজিয়ে দিক। ভিজিয়ে দিক আমাদের প্রেম, আমাদের ভালোবাসা, গল্প কথা সব। তব্ওু পৃথিবীটা আবার সুন্দর হোক। মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক। মানুষের কান্না, হাহাকার শূন্যতা বন্ধ হোক। বাহিরে করোনা, ভেতরে ক্ষুধার যন্ত্রণার অবসান  হোক। পৃথিবীতে আবার শান্তি নামুক।  এতোটুকুই প্রার্থনা খোদার দরবারে। বিঃ দ্রঃ তোমার চেয়ে সুন্দর না হওয়ার একটা আফসোস থেকে গেলো, এত্তো সুন্দর ক্যান তুমি, আম্মু! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়