শরীফ শাওন: [২] রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সভায় বিভিন্ন অপকর্মকে জায়েজ করার শঙ্কা রয়েছে। যোগদানের পর থেকে তিনি ব্যাপক একাডেমিক ও আর্থিক দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে, অপর একটি কমিটি তার সব দুর্নীতির তদন্ত করছে।
[৩] সোমবার শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের চিঠিতে বলা হয়, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ জুন, মেয়াদ শেষের বাকি ৩৫ দিন। আমরা জেনেছি কঠোর লকডাউনের মধ্যে উপাচার্য আগামী ১১ মে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন।
[৪] আশঙ্কা করছি, তার মেয়াদ শেষের আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুস সোবহানের মতো অবৈধ গণনিয়োগ দিতে পারেন। এছাড়া ইতোমধ্যেই জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলার আসামিদের বরখাস্ত না করে বরং পুরস্কার হিসেবে উপাচার্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সদরুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রদীপ কুমারকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছেন। এর আগে পরিষদের পক্ষ থেকে ১৩ মার্চ উপাচার্যের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
[৫] শিক্ষক নেতারা বলেন, কলিমউল্লাহসহ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার আমলের সব অবৈধ নিয়োগ-পদোন্নতি বাতিলসহ চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তার মেয়াদে আসন্ন সব সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :