রাজু চৌধুরী : [২] নগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সংযোগ সড়কস্থ জিরাত ফ্যাশন গার্মেন্টসের পশ্চিম পাশে মাষ্টার কলোনীর মুখে শাহ আমানত ফার্নিচার দোকানের বিপরীতে খালি জায়গায় অন্ধকার স্থানে একত্রিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণকালে তাদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
[৩] জানা যায়, রবিবার ৯ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে পুলিশ উক্ত স্থানে পৌঁছালে, ডাকাত দল পালানোর সময় ০১টি চাপাতি, ০২টি ছোরা, ০১টি প্লাস, ০৩টি লোহার রড, ০১টি লোহার কোরাবারী সহ ডাকাত দলের সদস্য মোঃ আল আমিন(২৪), মোঃ রুবেল(২৩), মোঃ কবির হোসেন (২৫), শশি প্রকাশ বাদশা(২১) ও মোঃ শরিফ প্রকাশ কালাইয়া(২৪) কে গ্রেপ্তার করেন।
[৪] এসি (চকবাজার) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর ঈদ আসলেই বেপারোয়া হয়ে ওঠে ছিনতাইকারী ও ডাকাত দল। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও সতর্ক থাকে, তারই ধারাবাহিকতায় অপরাধ দমনে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] এ ব্যাপারে, বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, জিজ্ঞাবাসাদে তারা জানান, লকডাউন থাকায় শহরের অনেকেই ঈদের অনেক আগেই শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ী চলে যাচ্ছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য ২-৩ দিন যাবৎ তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে টার্গেট ঠিক করে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছিল।
[৬] তারা আরও তথ্য দেয় যে, যে সব বাসার লাইট ২-৩ দিন যাবৎ অফ সেই বাসায় কেউ নেই ধরে নিয়েই টার্গেট করে। পাশাপাশি যে সকল বাসার বাহির থেকে তালাবদ্ধ সে সকল বাসায় ওরা টার্গেট করে। পূর্ব থেকে টার্গেটকৃত বাসা গুলোতে ডাকাতি করা উদ্দেশ্যেই অস্ত্র-সস্ত্র এবং ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জাম নিয়ে তারা এক জায়গায় জড়ো হয়েছে বলে স্বীকার করে।
[৭] গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান ওসি রুহুল আমীন।
আপনার মতামত লিখুন :