আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দেশ পানি হয়অবিশুদ্ধ নাহয় অনেক বেশি দামি।
[৩] বাংলাদেশে অধিকাংশ ভূউপরিস্থিত পানিতে রয়েছে অতি মাত্রার আর্সেনিক। এর কারণ একই সঙ্গে মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক। বাকি পানি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ও অতি জোয়ারের কারণে বঙ্গোপসাগরের পানি মোহনায় এসে পড়ছে। দ্য ইকোনমিস্ট
[৪] লবনাক্ত মাটি ধান উৎপাদনকে অসম্ভব করে তুলছে। নিচু এলাকা ছাড়ছেন অধিবাসীরা। এই অঞ্চলগুলোতে দেশটির ১৭ কোটি মানুষের এক চতুর্থাংশ বাস করেন। অতি লবন মানুষ আর ফসল উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এর ফলে উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, গর্ভপাত ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। উপক’লের মানুষ এ কারণে বৃষ্টির পানি সংগ্রহে বাধ্য হচ্ছেন।
[৫] বেশ কয়েকটি গ্রুপ এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও করছে। এর মধ্যে আছে ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ অ্যঅন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপিএইচই)। তারা বেশ দাবি লবনরোহিতকরণ মেশিন নিয়ে এসেছে। ৩টি জেলায় তারা এই নিয়ে কাজ করছে। কাজ করছে ব্র্যাকও। কিন্তু পদ্ধতিগুলো বেশ ব্যয়বহুল।
[৬] শুধু পানির কারণে ঢাকায় চলে এসেছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ লাখ। পানি পাওয়া যায়, কিন্তু তা ব্যয়বহুল এমন দেশের সংখ্যা পৃথিবীতে বেশি নেই। বিশে^র সবচেয়ে বেশি স্বাদু পানি মজুত আছে বাংলাদেশেই। তবু পানির জন্য হাহাকার কমছেই না।