শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২১, ০৩:৫৫ দুপুর
আপডেট : ০৯ মে, ২০২১, ০৩:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের ঘাটতি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭১২ জনের

শাহীন খন্দকার: [২] চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ৮ এপ্রিল থেকে দেশে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন ধাপে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি দুই লাখ চার হাজার ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়।

[৩] এ পর্যন্ত দেশে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৬ জন। যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মাঝে ৩৪ লাখ এক হাজার ৫৩১ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। অর্থাৎ ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৩২৫ জনের এখনো ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি। তবে গাণিতিক হিসেব অনুযায়ী ভ্যাকসিন বাকি আছে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৬১৩ ডোজ। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকবে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭১২ জনের।

[৪] ইতোমধ্যে দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোর প্রয়োগ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাই অন্য কোনো ভ্যাকসিন নিলে কোনো সমস্যা হবে কিনা সেগুলো বিশেষজ্ঞরা পর্যালোচনা করছেন।

[৫] ডা. ফ্লোরা বলেন, সিনোফার্ম, স্পুটনিক ভ্যাকসিনের প্রয়োগ বিষয়েও আমাদের কাজ করা হচ্ছে। তবে এগুলোর জন্য কিছু সমন্বয় করতে হবে কেন্দ্রগুলোতে। এক্ষেত্রে এখনো কেন্দ্র নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এ দিকে ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ভ্যাকসিন আসবে, তবে সেটি আসতে কিছুটা দেরি হতে পারে। এক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাস সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময়সীমা আরও বাড়ানো যেতে পারে বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে।

[৬] তিনি বলেন, এ বিষয়ে নাইট্যাগ (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ) বলছে ভবিষ্যতে তারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় আরও বাড়াতে বলতে পারে। এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ইতোমধ্যেই যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন সেই সংখ্যার বিপরীতে বর্তমানে এই মুহূর্তে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ ডোজ ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে।

[৭] ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সময়মত ভ্যাকসিন না আসলে প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন না। ভ্যাকসিন সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক রোবেদ আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়