শিমুল মাহমুদ: [৩] সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এই ধরনটি শনাক্ত করেছে। এ সংক্রান্ত তথ্য জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিআইএআইডি) প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে।
[৪] ভারতে গত অক্টোবরে প্রথম শনাক্ত এ ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি সাব টাইপও পাওয়া গেছে। সেখানে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সংগৃহীত ৩৬১টি নমুনার মধ্যে ২২০টি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ বি.১.৬১৭ ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
[৫] আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না।
[৬] যশোরে ভারতফেরত দুই বাংলাদেশির শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে নমুনা সিকোয়েন্সিং করে শনিবার দুপুরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারত থেকে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৬০ জন করোনা আক্রান্ত। তারা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
[৮] যুক্তরাজ্য শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুব মারাত্মক না হলেও অতিসংক্রামক। বাংলাদেশের মত ঘন বসতিপূর্ণ দেশ এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত বিস্তারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এবং হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর। একবার বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়লে পরিণতি ইন্ডিয়া বা নেপালের মত ভয়াবহ হতে পারে। সুতরাং যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারাই আক্রান্ত হবেন সবার আগে।
[৯] বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা বলেন, যে ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে পাওয়া গেছে সেখানে ই৪৮৪ মিউটেশনটি নেই। এটা থাকলে খুব ক্ষতিকর হতো। এখানে আমাদের টিকা কাজ করবে বলে মনে হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব