আশরাফুল আলম খোকন: আগে সত্যটা জানতাম। সরকারের সঙ্গে কাজ করতাম। সেই তথ্য দিয়েই লিখতাম। কারো মতের সঙ্গে মিলতো, কারো সঙ্গে মিলতো না। মিলুক আর না মিলুক- সত্য সত্যই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদায়ী উপাচার্যের শেষ মুহূর্তের নিয়োগ নিয়ে একটা লেখা গতকাল দিয়েছি। আর তথ্যগুলো পেয়েছিলাম পত্রিকার সংবাদ পড়ে। সেই তথ্য দিয়ে লিখেছি। পরে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখেছি তথ্যগত কিছু ভুল আছে।
নিয়োগকৃত ১৪১ জনের মধ্যে চারভাগের একভাগ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরমধ্যে ৪/৫ জন খুবই নির্যাতিত। এটাও সত্য। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি? তবে ছাত্রলীগের মধ্যে যারা নিয়োগ পেয়েছেন এর মধ্যে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীও আছেন। শিক্ষক হবার যোগ্যতা রাখেন। সবাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেয়া। কিন্তু তাদের অধিকাংশই নিয়োগ পেয়েছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে। যা তাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক।
বিদায়ী উপাচার্য ১৪১ জনের নিয়োগের কাঁঠাল ছাত্রলীগের মাথার ওপর ভেঙেছেন। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের ওপরও দোষ চাপিয়েছেন। আর মিডিয়া সুযোগ পেয়ে ছাত্রলীগকে এক হাত নিয়েছেন। সব অপবাদ ছাত্রলীগের ওপর দিয়ে গেলো। কিন্তু যা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্ত্রী পুত্র স্বজনরাই বেশি চাকরি পেয়েছেন। সাংবাদিকও আছেন ৪/৫ জন। আর ভাগ বাটোয়ারাতে বঞ্চিতরা ক্যাচাল লাগিয়ে দোষ ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়েছেন বিষয়টি আলোচিত করার জন্য। এইখানে নীতি নৈতিকতা ও সততার বালাই নেই। ভাগবাঁটোয়ারাতে বঞ্চিত বলেই তারা ক্ষুব্ধ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :