ফজলুল হক: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মানুষের চলাচল। ঈদকে সামনে রেখে এ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। দূরপাল্লার বাস না চললেও রিজাব লোকাল বাস, পিকআপ, প্রাইভেট কার, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল চেপে ভেঙে ভেঙেই বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই। শনিবার (৮ মে) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দেখা গেছে এ চিত্র।
সরে-জমিনে দেখা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় শনিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও ছিল উপেক্ষিত। স্বাভাবিকের থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিলেও বাসের প্রতিটি সিটেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছে। এমনকি কোনো কোনো বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার মতোও পরিস্থিতিও দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় এক মাস গণ-পরিবহণ বন্ধ থাকলেও, লকডাউনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই প্রাইভেট কার এবং মাইক্রোবাস কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই আন্তঃজেলার যাত্রী পরিবহণ করেছে। এদিকে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখার মতো কেউ নেই।
চন্দ্রা থেকে রাজশাহী যাওয়ার যাত্রী মো.ফাইজ উদ্দিন জানান, ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য সকালে এসে বসে আছি। কোনো গাড়ি পাইনা, যাও পাই তাও আবার ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হয়। আগে যে ভাড়া পাঁচ টাকা দিয়ে গেতাম এখন এক হাজার টাকার বেশি লাগে।
গালনা হাইওয়ে (কোনাবাড়ি) থানার পুলিশের ওসি মীর গোলাম ফারুক জানান, দুইটার মধ্যে চন্দ্রা এলাকায় পর্যাপ্ত ফোর্স থাকবে। টাঙ্গাইলের গাড়ি কালিয়াকৈর আসতে পারবে না। কোনো গাড়ি স্টেশনে থাকবে না। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :