সমীরণ রায়: [২] টিপু মুনশি আরও বলেন, বর্তমানে ৪০ লাখ শ্রমিকসহ প্রায় ১ কোটি মানুষ তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। এ খাত থেকে বাংলাদেশের প্রায় ৮৪ ভাগ রফতানি আয় আসে। পোশাক শিল্পের ওপর আমরা অনেকখানি নির্ভরশীল। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে সবাই অনেক আতঙ্কিত ছিল। বর্তমানে ঘুরি দাঁড়িয়েছি। সত্যি বলতে, পোশাক শিল্প আরও মজবুত অবস্থায় রয়েছে। দেশে শিশুশ্রম নির্মূল হয়েছে। ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। ধীর ধীরে অনেক এগিয়েছে এ খাত। শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করবে। সরকার শ্রমিকদের পাশে আছে।
[৩] তিনি বলেন, একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর পোশাক শিল্পের যে পণ্যের জন্য ১৫ ডলার পাওয়া যেত, বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ১২ ডলার । এই অবস্থায় টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এটা হয়ত মালিকপক্ষের কথা হয়ে যায়। তারপরও বলব পোশাক শিল্পের স্বার্থে বিষয়টি সামনে আনা উচিত।
[৪] শনিবার ‘করোনায় গার্মেন্টস খাতের কর্পোরেট জবাবদিহিতা ও শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
[৫] সংলাপে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপটি পরিচালনা করেন।
[৬] ঢাকা ও গাজীপুরের ১০২টি গার্মেন্টস, ৩০১ একজন সক্রিয় শ্রমিক ও ১০০ জন বেকার শ্রমিকদের তথ্য নিয়ে সিপিডি গবেষণাপত্র তৈরি করে। এর মধ্যে ৭৬.৫ শতাংশ ছোট কারখানা ও ২৩.৫ শতাংশ বড় গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :