আশরাফুল আলম খোকন: তারা কি শুধুই ছাত্রলীগ? তারা কি ছাত্রলীগ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছে? তারা ছাত্র হয়েই ঢুকেছে। হয়তো তারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। এর মধ্যে থেকে শতাধিক ছাত্রকে চাকরি দিয়েছেন উপাচার্য। চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে টগর-মাসুদের মতো ছাত্রনেতারাও রয়েছেন। যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে সাম্প্রদায়িক জামায়াত-শিবির মুক্ত করতে গিয়ে এখন অনেকটাই পঙ্গু অসহায় জীবনযাপন করছেন। তাদের চাকরির বিরুদ্ধে আজ যারা বিক্ষোভ করছেন তারা কি তখন সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চ্চার ছিলেন? নাকি জামায়াত-শিবিরের ভয়ে গুটিয়ে ছিলেন? সদ্য বিদায়ী উপাচার্য প্রায় ৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন। যতোদূর জানি, এই অসহায় ছেলেগুলো গত ৭/৮ বছর ধরে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছে। উপাচার্য স্যারকে মেয়াদের শেষ দিনেই কেন নিয়োগ দিতে হলো? এতোদিন তিনি কী করেছেন? শেষ দিনেই কেন করতে হলো? তড়িঘড়ি করে মন্ত্রণালয়ও হঠাৎ সাধু হয়ে গেলো, নিয়োগকে অবৈধ বলে তদন্ত কমিটি করে ফেললো। এটা কি ছাত্রলীগের ছেলেরা নিয়োগ পাবার কারণে এবং আপনারা এই নিয়োগের সুবিধাভোগী না হবার কারণে? সবসময় সাধু থাকলেতো করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষার ‘মহা’ বাজেট নিয়ে দেশে এতো বিতর্ক হতো না।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় আমরা খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের ৬৪ জনের ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া দেখেছি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে তাদের কীভাবে প্রাধান্য দিয়েছে তাও দেখেছি। নির্বাচন কমিশনে ছাত্রদলের তিনশতাধিক সক্রিয় নেতা কর্মীকে কীভাবে নিয়োগ দিয়েছে তাও দেখেছি। বিসিএসকে ন্যাক্কারজনকভাবে দলীয়করণ করে তালিকা করে আঞ্চলিক ছাত্রদল ও শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডারদেরও কীভাবে নিয়োগ দিয়েছে, তাও দেখেছি। তখন কোনো আওয়াজ হয়নি। নীরবে চুপচাপ তারা চাকরি পেয়েছেন। এখনো ওই চাকরিপ্রাপ্তরা খুব ভালোভাবে বহাল তবিয়তে ভালো ভালো পদে চাকরি করে যাচ্ছেন। কোনো আওয়াজ না দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার টেকনিকেলি টেকনিকটা বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে শিখা দরকার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :