শিমুল রহমান: [২] মুনিয়ার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে গুলশানের সেই ভবনের মালিকের মেয়ে ও মেয়ে জামাই, ম্যানেজার ও দারোয়ানসহ মোট সাত জনের জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনও এসেছে পুলিশের হাতে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একাত্তর টিভি
[৩] মেয়ের জামাই পুলিশকে জানিয়েছেন, বাসাটি তার শাশুড়ির। তিনি অসুস্থ থাকায় তারা তার দেখাশুনা করেন। যেদিন মুনিয়ার লাশ উদ্ধার হয় সেদিন ভোর চারটা থেকে সকাল নয়টার মধ্যে মুনিয়া তার স্ত্রীর কাছে যশোরে যেতে একটি গাড়ি চেয়েছিলেন।
[৪] মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকে লাপাত্তা। গেলো ২৮ শে এপ্রিল কুমিল্লায় মুনিয়ার দাফনের পর সবুজ বলেছিলেন, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর মূল হত্যাকারী। তাকে গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তি দেয়ার দাবি করছি।
[৬] কিন্তু এর তিনদিন পরই ২ মে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের বিরুদ্ধে মুনিয়াকে হত্যার অভিযোগ আনেন। অনেক চেষ্টার পরও আশিকুর রহমান সবুজের কোন বক্তব্য নিতে পারেনি সাংবাদিকরা। এরপর থেকেই তার দুটি ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
[৭] কুমিল্লা উজির দিঘির পাড়ের সেতারা সদনে সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকেন সবুজ। মামলার পর থেকেই তার বাসায় তালা ঝুলছে। তার স্ত্রীর ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী জানায়, বোনের দাফনের পর থেকে আর দেখা যায়নি সবুজকে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগের জগপুরে সবুজের শ্বশুরবাড়ি। তিনি ও তার স্ত্রী সেখানেও নেই।
[৮]মুনিয়ার বড় বোন তানিয়া দাবি করেছেন গেলো কয়েক বছর ধরেই ভাইয়ের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ঝামেলা চলছে।
[৯] তিনি বলেন, যদি হত্যা মামলা করতেই হত তাহলে বসুন্ধরার গ্রুপের ফ্যামিলি বা আনভীরের বিরুদ্ধে আরেকটা হত্যা মামলা হওয়ার কথা। কিন্তু আরেকজন মানুষ কে বা কোথায় থেকে আসছে তা আমার জানা নেই। এমনও হতে পারে সে বসুন্ধরার গ্রুপের সাথে কম্প্রোমাইজ করেছে কোন কিছু নিয়ে।
[১০] হঠাৎ করে ভাইয়ের এমন মামলাকে তিনি ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :