সমীরণ রায়: [২] শুক্রবার সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ঈদের আগে যথাসময়ে কর্মহীন শ্রমজীবীদের সরকারি সহায়তা এবং কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। কোনো কারখানা বেতন বোনাস দিতে ব্যর্থ হলে ১০ মে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি দায়িত্বশীল ও সৌজন্যমূলক আচরণ এবং ঈদের আগেই কর্মহীন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ম্রমিকদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
[৩] তারা বলেন, লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষদের টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ এবং তা প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষদের হাতে পৌঁছাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছি। সরকারের সহায়তা বন্টনের গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি দৈনিক আয়ের উপর টিকে থাকা গণ-পরিবহন শ্রমিক, পর্যটন শ্রমিক, রাইডার, হালকা যানবাহন চালক, নির্মাণ শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান চালক, হকার, পাদুকা শ্রমিক, দিনমজুর, দোকন-কর্মচারী, গৃহশ্রমিক যারা লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে জীবনযাপন করেছে সরকার তাদের হাতে সহায়তা পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
[৪] তারা আরও বলেন, ৫০ লাখ শ্রমজীবী মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও আমলা আর জবাবদিহিতাহীন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি, দায়িত্বহীনতার কারণে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অথচ সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতের শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোন পরামর্শ করেনি।