শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২১, ০২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৭ মে, ২০২১, ০২:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাল নেই দর্জির কারিগররা

তৌহিদুর রহমান : [২] দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সংক্রামণ রোধে লকডাউনের কারণে শুরু থেকে ১০ রোজা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ থাকায় ঈদের কাজের অর্ডার নিতে পারেননি দর্জিরা।

[৩] কিন্তু বিগত সময়ে প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের আগে সেই ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। রাত-দিন মিলিয়ে গ্রাহকদের কাপড় সেলাই করেন কারিগররা। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট একেবারেই উল্টো। কাজের আশায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্জিদের কাজ কমেছে অন্তত ৫০ শতাংশ। এতে করে অনেক দর্জি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

[৪] সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নারী ও পুরুষের পোষাক এবং পাঞ্জাবী সেলাই করা হয়- এমন অন্তত দুই হাজার দর্জি দোকান আছে। এসব দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত ১০ হাজার কারিগরের। এই কারিগরদের হাতে সারাবছরই কাজ থাকে। কিন্ত এখন করোনাভাইরাসের কারণে কাজ কমে যাওয়ায় অনেকটা অলস সময় কাটছে কারিগরদের। কাজ কমে যাওয়ায় অনেক কারিগর কর্মহীন হয়ে পেশা বদল করে এখন দিনমজুরি করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আরও অনেক কারিগর বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

[৫] কথা হয় দর্জির কারিগর সালেক মিয়ার সাথে তিনি বলেন করোনাভাইরাসের কারণে গতবছর থেকে কষ্ট করছি। আগে কাজের এত চাপ ছিল, যে ১৬-১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। এখন ৫-৭ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়না। আমাদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে। আমাদের অনেক কারিগর বেকার হয়ে পড়েছে। যেহেতু হাত দিয়ে স্পর্শ করে মাপ নিতে হয়, সেজন্য অনেকেই করোনাভাইরাসের ভয়ে কাপড় সেলাই করতে চাননা। আমার এক সহকর্মী কর্মহীন হয়ে সংসার চালানোর জন্য তার একটি গরু বিক্রি করে দিয়েছেন। দর্জিদের এমন দুর্দিন আমার জীবনে আগে কখনও দেখিনি'।

[৬] আরেক দর্জি দোকানের মালিক কুদ্দুস মিয়া বলেন, 'কাজ না থাকলেও দোকান ও কারখানা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য ব্যয় ঠিকই মেটাতে হচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে কারিগরদের খরচের টাকাও দিতে হচ্ছে। অথচ গত বছর থেকেই দোকানের কাজ অনেকাংশে কমে গেছে।

[৭] এ অবস্থায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আমাদের আরও অনেক কারিগর বেকার হয়ে পড়বে'। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়