জবি প্রতিনিধি: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইনে নেই উপ-উপাচার্যের বিধান। যার ফলে প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পূর্ণ হলেও উপ-উপাচার্য ছাড়াই চলছে এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি। এদিকে উপ-উপাচার্য পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক ও নানান উন্নয়নমূলক কাজে বিঘ্ন ঘটছে দীর্ঘদিন থেকেই।
[৩] বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা বলছেন, উপ-উপাচার্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতা দূর হবে, ধীরগতি থাকবে না একাডেমিক কার্যক্রমে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যাও নিরসন হবে বলেও ধারণা তাদের।
[৪] জানা যায়, আইন সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।আইন সংশোধনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
[৫] এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের সাবেক অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্যের কাজ ট্রেজারারকে দিয়ে করানো হচ্ছে। কিন্ত ট্রেজারার আর উপ-উপাচার্য দুই পদেরই আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। উপ-উপাচার্য না থাকার কারণে আমাদের প্রশাসনিক কাজেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি থাকাকালে ২০১৬ সালে প্রতিটি বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। কিন্ত সেটা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়নি। এটি নিয়ে গড়িমসি করেছে।
[৬] এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য খুবই দরকার। এ বিষয়টি নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে আমি একমত। আমরা ২০১৬ সাল থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ বিষয় নিয়ে উপাচার্য বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছি। আমরা এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়।
[৭] বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের (একাংশ) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সংশোধন চেয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে এই আবেদনগুলো দাখিল করেনি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোনো তৎপরতাও দেখায়নি। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন করে উপ-উপাচার্য রয়েছে। অথচ এটি নিয়োগের বিধানই আমাদের আইনে নেই।
[৮] তিনি আরো বলেন, আমাদের সমসাময়িক প্রতিষ্ঠিত অনেক নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য রয়েছে কিন্ত আমাদের এখানে নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে অধ্যাপক রয়েছেন ১০৭ জন, ১ম গ্রেডের অধ্যাপক রয়েছেন ২৬ জন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলেই আইন সংশোধন করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপ-উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারে। সম্পাদনা: সাদেক আলী