খালেদ মুহিউদ্দীন: প্রতিদিন আপনি আমি ফেসবুক রচনা করি, পড়ি, খুঁজি। কী লিখি-পড়ি কী খুঁজি? আমরা কি তথ্যপ্রেমী, তথ্যকাঙাল- না তথ্য সওদাগর? আমরা তথ্য দিই, তথ্য নিই তথ্য গিলি, তথ্য বমি করি। আমরা কি এখন পৌরাণিক দুমুখো সাপ, দুই অংশে দ্বিধা হয়ে খেতে থাকি নিজেকেই? কী হয় তথ্য জেনে তথ্য জানিয়ে? এসব তথ্য কি সেইসব রহস্য বোঝার জন্য জরুরি? নাকি আপনি আমি আমাদের বিচারের দাঁড়িপাল্লা হাতে বের হই? দেখি কে কে কতো বোকা আর খারাপ, কারা কারা নৃশংস আর দুর্নীতিবাজ, কারা ভালো মানুষের মুখোশ এঁটে গলা কাটে আর মানুষের। সম্ভবত আমরা বিপ্লবী দ্রোহী আর প্রতিবাদী খুব। সব অন্যায়কে আমি আপনি রুখে দিই। আমরা শত্রু খুঁজে পাই, সবাই মিলে তাকে শেষ করি।
তারপর দারুণ ভালোবেসে বন্ধুদের বানাই নতুন শত্রু। নাকি আমি আপনি কল্যাণকামী খুব, মহান সংস্কারক একেক জন? তিলে তিলে পঁচে যাওয়া এই সমাজকে আমার পূর্বপুরুষ আর আমার মতো মর্যাদাবান করে তুলতে চাই; তাইতো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিই কে কে শয়তান? এমনও কি হতে পারে আপনি সতর্ক আর সাবধানী শ্রেষ্ঠ? খালি আপনিই পেয়েছেন সত্যের পথ। তাই আপনি দেখিয়ে দেন কী কী বিপদ আসছে আমাদের দিকে। আপনি শিখিয়ে দেন শেখাতে থাকেন নিরলস কীভাবে এসব ক্লেদ আর পাঁক বাঁচিয়ে কীভাবে আপনি শুধু আপনি আর হয়তো আপনার ভক্তকূল থেকে গেছেন পবিত্র। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :