রবিউল আলম: কীসের ভিত্তিতে আলোচনা হচ্ছে হেফাজতের সঙ্গে? মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, হেফাজত নেতারা আপনার সঙ্গে আলোচনার নাটক করছে, ইচ্ছেমতো মিডিয়ার কাছে, একটি চিরকুট দিচ্ছে। হত্যা মামলার আসামিকে সঙ্গে নিচ্ছে, সঙ্গে থাকছে মামুনুলের ভাই। দেশের মানুষকে দেখাতে চাচ্ছে হেফাজতের গুরুত্ব এখনো কমেনি। আমরা কি নিজের অজান্তেই হেফাজতকে পিপিলাই দিচ্ছি? মাননীয় মন্ত্রী হেফাজতকে আলোচনার আগে সরকারেরও কিছু স্বার্থ থাকতে হবে সাংবিধানিক। জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত, দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নিতে হবে। বিনা স্বার্থে হেফাজতে সাথে আলোচনা হতে পারে না। তাদের চিরকুট দেওয়া সুযোগ দেওয়া যায় না। তারা বন্দীদের মুক্তি চান, গ্রেপ্তার বন্দ করার আহ্বান জানান এখনো বীরদর্পে, বুকের পাটা টান করে।
হেফাজতকে মাথানত করে জাতীয় পতাকা হাতে, মাথানত করে জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বলতে হবে- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। সরকার ভাবতে পারে, দেখতে পারে, তারা পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে কি-না। সংবিধান অবমাননাকারীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা হতে পারে না। মাননীয় মন্ত্রী- আপনি কোনো ব্যক্তি নন, জাতির প্রতিনিধি। আপনার সঙ্গে আলোচনা করে চিরকুটের মাধ্যমে সরকারকে একটা হুমকি দেওয়া হয় গেট পেরুতেই। আমরা দেশের সকল অপরাধীকে আইনের কাছে মাথানত দেখতে চাই। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :