আসাদুজ্জামান বাবুল/ মাহাবুব সুলতান: [২] অভিযোগ রয়েছে, চাকুরীর প্রলোভন ও বছরের বিভিন্ন উৎসবে অধিক বেতন, বোনাস ছাড়াও চাকুরি দিয়ে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ভুয়া এনজিওটি তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
[৩] এনজিও’র বিধান অনুযায়ী এসব কর্মীদের কাছ থেকে অলিখিত ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেয়া হয়েছে। সে কারনে চাকুরী পাবার আসায় লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও বিপাকে পড়েছে এসব এনজিও কর্মীরা। চাকুরি না পেয়ে এনজিও পরিচালকের কাছে টাকা চাইতে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
[৪] আমাদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া প্রতিনিধি, আজ বৃহস্পতিবার সরোজমিন এসব কর্মীদের সাথে আলাপকালে অভিযোগ করে তারা বলেছে, উপজেলার পবনার পাড় গ্রামের ইমান উদ্দিন মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া ঠান্ডা ঢাকায় একটি খ্রিস্টিয়ান মিশনে চাকুরি করতেন।
[৫] দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে চাকুরী হারাবার পর ২০১৯ সালে উপজেলার জাঠিয়া গ্রামে এসে সুখতরা সমাজ সেবা সংস্থা নামে একটি এনজিও চালু করেন। তিনি এবং তার একান্ত সহযোগি ছিকটীবাড়ী গ্রামের নেপাল বাড়ৈর স্ত্রী রিনা রানী বাড়ৈ, গ্রামে ঘুরে ঘুরে বেকার ছেলে মেয়েদের অধিক বেতনে চাকুরী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে সুখতারা সমাজ সেবা সংস্থায় নিয়োগ দেন।
[৬] এ সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে এসব কর্মীরা তাদের জমা রাখা টাকা ও স্বাক্ষরিত ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ফেরত চাইতে গেলে সুখতারা সমাজ সেবা সংস্থার পরিচালক সেলিম মিয়া ঠান্ডা তাদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকী দেয়।
[৭] এমন কি জাঠিয়া গ্রামে অবস্থিত সুকতারা সমাজ সেবা সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ছিকটীবাড়ী গ্রামে পল্লীউন্নয় সংগঠন নামে আর একটি এনজিও কার্যক্রম চালু করেছেন। গত মঙ্গলবার ছিকটীবাড়ী গ্রামে গিয়ে সুখতারা সমাজ সেবা সংস্থার পরিচালক সেলিম মিয়া ঠান্ডা ও তার একান্ত সহযোগি রিনা রানী বাড়ৈর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এনজিওটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তরে আবেদন করলেও নিবন্ধন পান নি।
[৮] হতে পারেন নি এনজিও ব্যুরোর সদস্য, পায় নি দাতা সংস্থার কোন অনুদান। এ ব্যাপারে চৌখুলী গ্রামের বৃদ্ধ নহিমিয় মিত্র জানান, সুখতারা সমাজ সেবা সংস্থায় আমার ভাতিজা পনুয়েল মিত্র চাকুরীর জন্য আমি পরিচালক সেলিম মিয়া ঠান্ডাকে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছি। এখন সে টাকা ফেরত দিচ্ছে না বরং আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
[৯] এভাবে কাজুলিয়া গ্রামের বদরুজ্জামান শেখ, জাঠিয়া গ্রামের দুলালী বাড়ৈ, বিরামেরকান্দি গ্রামের সহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলার কাবেল মিয়া সহ অর্ধশত কর্মীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
[১০] এ ব্যাপারে সুখতারা সংস্থা ও পল্লী উন্নয়ন সংগঠনের পরিচালক সেলিম মিয়া ঠান্ডা জানান, একটি ভালো কাজ করতে গেলে কিছু অনিয়ম হতেই পারে। এখনও হাল ছাড়ে নি, সংস্থাটি নিবন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিবন্ধন পেলে যাদের নিয়োগ দিয়েছি তাদের চাকুরিতে ডেকে আনব।
আপনার মতামত লিখুন :