শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পরে কেউ মারা গেছেন এরকম তথ্যও আমরা পাইনি। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পরে কেউ কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্যসহ জীবনের ঝুঁকি কম।
[৩] উপচার্য বলেন, বর্তমানে কেমন আছে, ৬ মাস পরে ইমিউনিটি কেমন এবং ১ বছর পরে কতটুকু আছে, সেটা আমরা পর্যালোচনা করবো। আর যদি ইমিউনিটি না থাকে তাহলে আমাদের প্রতিবছর-ই করোনা টিকা নিতে হবে। এদিকে কোভিড-১৯ পরামর্শক কমিটি সুপারিশ করেছেন, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ টিকা নিলেও মাস্ক পড়তে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
[৪] তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে করোনা টিকার দুইডোজ গ্রহণকারী ১০০ জনের মধ্যে জরিপ করে দেখতে পেয়েছি, তাদের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিনের উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রেজেনিকার দাবি এ ভ্যাকসিন ৮০ শতাংশ মানুষের দেহে এন্টিবডি তৈরি বা করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে কাজ করবে।
[৫] ফাইজার টিকার দুটি ডোজ নিয়ে একজন প্রবাসি বাংলাদেশে এসেছেন কিন্তু তারও করোনা হয়েছে। তিনি বিএসএমএমইউ ভর্তিও হয়েছেন। মনে রাখবেন টিকা নিলেও যে অসুস্থ হবেন না তা কিন্তু না। তবে করোনাভাইরাস বন্ধ হবে তাও বলা যাবেনা, আবার প্রতিবছর যে টিকা নিতে হবে তা আপাতত বলা যাচ্ছে না। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :