আশরাফ আহমেদ:[২] ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। তবে এই খুশিতে আত্মহারা হয়ে করোনার আতঙ্ককে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে মার্কেটে হরদম কেনাবেচা।
[৩] দেশে ভয়াবহ মরণঘাতী করোনার প্রতিরোধে দীর্ঘদিন শপিং মলসহ দোকানপাট বন্ধ ছিল। কিন্তু সীমিত পরিসরে দোকান , শপিং মল খোলার ঘোষণা দিলে ও ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে অধিকাংশ হাটবাজারে দোকানপাট ও শপিংমলে উপচে পড়া ভীড় । তবে দেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এতে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কায় ভুগছেন উপজেলার সচেতন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[৪] সরেজমিনে উপজেলার হোসেনপুর পৌরসভার কাপড় পট্টির মার্কেট, হাজিপুর বাজার, ভোটের বাজার, রামপুর বাজার, আদুমাষ্টারের বাজার, গোবিন্দপুর চৌরাস্তা, ঠাডাকান্দা বাজার, আশুতিয়া বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনারি ,হার্ডওয়ার, কাপড়ের দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে হরদমে নিয়ম না মেনে বেচাকেনা চলছে। যদিও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও এসব দোকানে তা মানছে না।
[৫] প্রতিটি দোকানে হাত ধোয়ার পানি ও সাবান,হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তা অধিকাংশ দোকানেই নেই। পুলিশের গাড়ি দেখলেই দোকানের শাটার বন্ধ করে দিচ্ছে, আবার পুলিশের গাড়ি চলে গেলেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে দোকানিরা ।যার কারণে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের শঙ্কা।
[৬] এ সময় কাপড় কিনতে আসা কাওনা গ্রামের নাজনীন, কুড়িমারা গ্রামের ফিরোজা, বড়ুয়া গ্রামের মিনা সহ অনেকেই জানান, ঈদে বাচ্চাদের পোশাকের আবদার বেশি। তাই বাধ্য হয়ে পোশাক কিনতে মার্কেটে এসেছি।উপজেলার হাজীপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, ঈদের সামনেই আমাদের কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে। আর কতদিন বসে বসে জমানো টাকা খাবো।
[৭] এতদিন ব্যবসার ক্ষতি করে বাসায় বসে ছিলাম আর বসে থাকতে পারবো না।এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার জন্যে অনুমতি প্রদান করায় এরকম অবস্থা হয়েছে। তবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি না পেলে এই অবস্থা দূর হবে না বলেও তিনি জানান।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :