কামরুল হাসান মামুন: এই উদ্যানের উপর এত রাগ কেন? ১টি রেস্তোরাঁ না, ২টি রেস্তোরাঁ না। ৭টি রেস্তোরাঁ কেন? কার মাথা দিয়ে এই গোবর মার্কা চিন্তা এসেছে? এমনিতেই ঢাকা শহরে অক্সিজেন দেওয়ার মত যথেষ্ট গাছ নাই। এমনিতেই ঢাকা শহরের মোট জায়গার যত শতাংশ জায়গা খোলামেলা গাছ গাছালিতে ঘেরা জায়গা থাকা দরকার তার অর্ধেকের অর্ধেকও নেই। আর ঢাকা শহরের জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করলে পুস্তকে যতটুকু জায়গা গাছ গাছালিতে ঘেরা থাকার কথা আমাদের তার চেয়ে অনেক বেশি থাকার দরকার। অথচ আমাদের যতটুকু খোলামেলা গাছ গাছালিতে ঘেরা জায়গা ছিল সেগুলোকেও হত্যা করে ফেলছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই উদ্যানে এমন একটি দিন নাই যেদিন জগিং করি নাই অথবা হাঁটতে যাই নাই। ওখানে যেতাম তার আরো একটা অন্যতম কারণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রথিতযশা শিক্ষক এবং কবি সাহিত্যিকরাও যেতেন। আমি নিজে যখন ক্যাম্পাসে ছিলাম তখনও প্রায় প্রতিদিন জগিং করতে যেতাম। যদিও ততদিনে অনেক গাছ কেটে উদ্যানটিকে কংক্রিটের উদ্যান বানানো হয়ে গেছে। বাকি ক্ষতি যতটা করা দরকার সেটি এইবার মেট্রোরেল আর রেস্তোরাঁ বানানোর মাধ্যমে হচ্ছে।
বিশ্বে এমন আরেকটি দেশ পাবেন না যার রাজধানীকে দিনে দিনে নষ্ট করে। সবাই চেষ্টা করে রাজধানীকে কিভাবে আরো নান্দনিক সুন্দর করা যায়। আমাদের কাছে সুন্দর করা মানে ভবন বানানো আর অবকাঠামো নির্মাণ। এত অসভ্য অশিক্ষিত দেশ এখন খুব কমই আছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্তোরাঁ কেন বানাতে হবে অনেক কষ্ট করেও বুঝতে পারলাম না। এটি কি মেট্রোরেলের প্রজেক্টের একটি পার্ট? এই কাজ যারা করছে সেটি যেমন অন্যায় আবার যারা এই কাজের প্রতিবাদ করছে না সেটি আরো বড় অন্যায়। জনগণ প্রতিবাদ করে না বলেই শাসকরা অন্যায় কাজ করে যেতে পারে।
এইদিকে সুন্দরবনে বারবার আগুন লাগছে! বনকে জমি বানানোর কি সহজিয়া তরিকা। আমরা কোনদিন মানুষ হব না।
আপনার মতামত লিখুন :