সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকারের কোনো উদ্যোগ বিএনপির চোখে পড়ে না। করোনার সংকটকালে জনগণের জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা না করে তারা তোতা পাখির মতো শেখানো বুলি অবিরাম আওড়িয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলা তাদের মুখে শোভা পায় না। ক্ষমতায় থাকতে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের কলঙ্কিত অধ্যায়ও এদেশে সৃষ্টি করেছে। বিএনপি নেতারা পূর্ণিমার আলো ঝলঝল রাতেও অমাবশ্যার অন্ধকার দেখতে পায়।
[৩] তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার রেকর্ডে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন। তারা ১ কোটি সোয়া লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে আজিজ মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। এ কারণে দেশে ১/১১’র মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল। মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের সেই জালিয়াতির কথা দেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি।
[৫] তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে সকাল ১০টার মধ্যেই ভোট দেওয়া শেষ করা হয়েছিল। তখন চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনার আগেই চূড়ান্ত ফলাফল রেডিও, টিভিতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাই বিএনপির মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার বুলি ‘ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো’।
[৬] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বা দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজন দেখে নয়। বরং নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারের তালিকা করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এসব সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।’ নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা এবার যেন কোনোভাবেই বেহাতে না যায়, সে ব্যাপারেও ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের যদি নিয়ন্ত্রণই থাকবে, তাহলে প্রতিদিন তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার করে কেমন করে? আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি এখনও স্বাধীন গণমাধ্যম আছে বলেই টিকে আছে।
[৮] মঙ্গলবার তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :