তরিকুল ইসলাম:[২] মঙ্গলবার টেলিফোন আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভ্যাকসিন পেতে দেশটির সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। মে দিবস উপলক্ষে সেখানে পাঁচ দিনের ছুটি থাকায় এখন সবকিছু বন্ধ রয়েছে।
[৩] সবকিছু স্বাভাবিক হলেই তারা আমাদের জন্য ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করবে। আমরাও এ নিয়ে আশবাদী।
[৪] ড. মোমেন বলেন, চীন প্রথমে আমাদের ছয় লাখ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে। এর পর তাদের কাছ থেকে আমরা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী কিনে নেবো।
[৫] ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের বিস্তর আলোচনা হয়েছে, তিনিও আমাদেরকে যথেষ্ঠ সহযোগিতার মনোভাব দেখিয়েছেন।
[৬] কখন এবং কত ডোজ টিকা কীভাবে আসবে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। তারা জানে কখন এটা আমাদের দরকার।
[৭] সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোভিড-১৯ এর টিকা সবার জন্য সহজলভ্য করার তাগিদ দিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনেকদিন ধরে একই কথা বলে আসছেন।
[৮] দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে যদি কোভিড ১৯ এর টিকা জরুরি ভিত্তিতে দরকার হয় তা যেন দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহ করা যায় চীন এখন সেদিকে নজর দিচ্ছে।
[৯] অক্সফোর্ডের টিকার মজুদ রেখে ব্যবহার না করায় যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও সুইডেনে চিঠি দিয়ে আমরা আমাদের টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছি।
[১০] রাশিয়াসহ সম্ভব্য সকল দেশের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। যে কোনো একটি বা দুটি উৎস থেকে টিকা পেলে প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ পেতে সমস্যা হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :