ইমরুল শাহেদ: পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত বিতর্কিত মন্তব্য করে দ্বিমুখী সংকটে পড়েছেন। একদিকে তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে, অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে কলকাতায় মামলা হয়েছে।
হিন্দুস্তানটাইমস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই কঙ্গনার টুইটারের দেওয়াল জুড়ে শুধুই বাংলার বিধানসভা ভোট। সেখানেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বাঙালি জাতিকেও অপমান করা হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এর জেরেই এবার কঙ্গনার নামে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। তিনি ইমেইলের মাধ্যমে কঙ্গনার নামে মামলা করেছেন।
সুমিত চৌধুরী লিখিতভাবে কলকাতা পুলিশকে জানান, বিজেপির পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন কঙ্গনা। বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য নষ্ট করতে চাইছেন এই অভিনেত্রী। এনআরসি ও সিএ-র সমর্থনে কথা বলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এবিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। এমনকী, ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্যও মমতার তীব্র সমালোচনা করেন বলিউড অভিনেত্রী। তিনি পর পর ট্যুইট করে বেনজির আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনওটায় বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাবণ’ বলে কটাক্ষ করেন এই অভিনেত্রী। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক ট্যুইট করেন কঙ্গনা।
একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশী আর রোহিঙ্গারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল শক্তি। তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই। আর বাঙালি মুসলিমরা হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে গরীব। বাংলায় একটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’
অন্যদিকে, টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট দিয়ে কঙ্গনা একে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ আখ্যা দিয়েছেন। পোস্টে আগের মতোই ‘#বেঙ্গলবার্নিং’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন কঙ্গনা।