মাছুম বিল্লাহ: [২] বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনে ৭৪ জন সংখ্যালঘু মুসলিম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৪৩ এবং আসামের ৩১ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
[৩] ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক যুগশঙ্খের গুয়াহাটি সংস্করণের খবর, আসামের এবারই সবচেয়ে বেশি মুসলিম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই বিরোধী কংগ্রেসের ১৬ ও এআইইউডিএফের ১৫ জন। ক্ষমতাসীন বিজেপি ৮ জন মুসলিমকে প্রার্থী করলেও তারা কেউই জিততে পারেনি। এ কারণে গত ৫০ বছরের মধ্যে এবারই ক্ষমতাসীন দলে নেই কোনো মুসলিম বিধায়ক।
[৪] পত্রিকাটি জানায়, ১৯৮৩ সালে আসামের বিধানসভায় সর্বাধিক ৩৩ জন মুসলিম বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু আসাম আন্দোলনের সময় সেই ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ৩৩ জন মুসলিম বিধায়ক জয়ী হলেও মাত্র দেড় বছরের মধ্যে সেই সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
[৫] আরও জানায়, এবার কংগ্রেস মোট ২৯ আসনে জয়ী হয়েছে, এরমধ্যে ১৫ জনই মুসলিম। আর ১৯ আসনে প্রার্থী দিয়ে ফণীধর তালুকদার নামে এক হিন্দু প্রার্থী ছাড়া এআইইউপিফের বাকি সব প্রাথীই ছিলেন মুসলিম। আসামে ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনের সংখ্যা বর্তমানে ৪০/৪২। সেই হিসেবেই বাড়ছে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা।
[৬] যুগশঙ্খের কলকাতা সংস্করণের খবরে বলা হয়, গত নির্বাচনের চেয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা কমেছে। গতবার ছিল ৫৮ জন। এবার ৪৩ জন। এদের মধ্যে আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী ছাড়া সবাই ক্ষমতাসীন তৃণমূলের কংগ্রেসের।
[৭] পত্রিকাটি জানায়, ২০১৬ সালে তৃণমূল থেকে ৩০ জন মুসলিম বিধায়ক জয় হয়েছিলেন। কংগ্রেস থেকে ১৮ এবং বামফ্রন্টের ৯ জন মুসলিম বিধায়ক ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে ৮০ টি আসন আছে যেখানে মুসলিম ভোট মূল নিয়ন্ত্রক। ১৪৬ টি আসনে বড় ফ্যাক্টর মুসলিম ভোটাররা।
[৮] পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, মুসলিমরা তৃণমূলকে ঢাকাও ভোট দিয়েছেন। তাই কমপক্ষে পাঁচজন পূর্ণমন্ত্রী ও চারজন প্রতিমন্ত্রী মুসলিম করা হউক। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের পূর্ণমন্ত্রীর পদ একজন যোগ্য মুসলিম বিধায়ককে দেওয়া হোক।
[৯] ইসলামী মহিলা আন্দোলনের নেত্রী নায়িমা আনসারি বলেছেন, ‘মুসলিমরা তো ভোট দিয়েছে। দিদি এখন মুসলিমদের কী দেন, সেটাই দেখার বিষয়।