শরীফ শাওন: [২] শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত ৩ সেমিস্টার অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান পরিচালনা করলেও আগামী সেমিস্টার জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
[৩] সোমবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, করোনার কারণে বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসে ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত করা হয়েছে। লকডাউনের প্রভাবে সকল কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।
[৪] তারা আরও জানায়, জার্মানিতে শিক্ষা ব্যবস্থা থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল ও ইন্টার্নশিপের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওরি ক্লাস অনলাইনে পরিচালিত হলেও প্র্যাকটিক্যাল এবং ওয়ার্কশপ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণ করতে হয়। তাই, শুধু থিওরি ক্লাসে অংশগ্রহণ করে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ একেবারেই ক্ষীণ। তাই শিক্ষার্থীগণের বেশিরভাগ বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না। লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার সুযোগ না থাকায় রিসার্চ ভিত্তিক অধ্যয়ন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
[৫] শিক্ষার্থীদের দাবি, লকডাউনে 'জরুরি ও বিশেষ সেবার' আওতায় এনে শিক্ষার্থীদের ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অন্যথায় ভিসা অনিশ্চিয়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হতে শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের শঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায়, হুমকির মুখে পড়বে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ও ক্যারিয়ার। আশাহত হবে সহস্র পরিবার, ভেঙে পড়বে শিক্ষার্থীদের মনোবল। এছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :