রাশিদুল ইসলাম : [২] সোমবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে, কোভিড মহামারীর সঙ্গে লড়াই করার বদলে পুরো কেন্দ্রীয় সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে চেয়েছিলেন। পরে লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল প্রমাণ করল, নরেন্দ্র মোদি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অপরাজেয় নন। দি ওয়াল
[৩] পশ্চিমবঙ্গের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল শিবসেনা। ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয়েছিল আট দফায়। বিজেপি টাকা, ক্ষমতা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে মমতাকে হারাতে চেয়েছিল। ভোটের ফলাফলকে এক লাইনে ব্যাখ্যা করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি হেরেছে, করোনা জিতেছে।’ শিবসেনার অভিযোগ, ভোটে জেতার জন্য নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ বড় জনসভা করেছেন। রোড শো করেছেন। শিবসেনার প্রশ্ন, বিজেপির পরাজয়ের দায় কে নেবে?
[৪] ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের লড়াইয়ে আদাজল খেয়ে লেগেছিল গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পশ্চিম বাংলায় মোট ২২টি জনসভা করার কথা ছিল মোদিরই। কোভিডের কারণে মোদির বেশ কিছু সফর বাতিল হয়ে যায়। ২২ নামে ১৮-তে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেও বেশ কিছু বক্তৃতা দিয়েছেন মোদি।
[৫] পশ্চিম বাংলার নির্বাচনী প্রচারে সময় দিয়েছিলেন অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এমনকি যোগী আদিত্যনাথও। ২ মে-র ফলাফলে গায়েব সব ম্যাজিক। হাতে রয়েছে শুধু নন্দীগ্রাম আর হলদিয়া। ৭ ফেব্রুয়ারি এই হলদিয়াতেই প্রথম নির্বাচনী জনসভাটি করেছিলেন মোদি। কাঁথি উত্তর বা দক্ষিণে জয় আসেনি। নাটকীয় ভাবে নন্দীগ্রামে শেষ বেলায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমোকে পরাজিত করেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :