আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]তাদের মান-সম্মান আছে, এই দাবি করে তথ্য বাইরে আসা ঠেকানোর আবেদন করেছিলো দেশটির নির্বাচন কমিশন।
[৩] এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলো ভারতের নির্বাচন কমিশন। আদালতের ভেতরের সমস্ত কথোপকথন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলো ভারতের শীর্ষ আদালত। নির্বাচন কমিশনের ‘একটা মান-সম্মান আছে’ এই যুক্তি তুলে ধরে তাদের বিরুদ্ধে করা বিচারপতিদের মৌখিক মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ যাতে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না হয়, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। এনডিটিভি
[৪] সোমবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে কোনও ভাবেই মৌখিক শুনানি প্রকাশ করা থেকে বিরত করা যাবে না। কারণ আদালতের ভিতরে কী ঘটছে, তা জানার কৌতূহল এবং অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। কোনও মামলার সর্বশেষ রায়ের পাশাপাশি আদালতের অন্দরের কথোপকথনও তারা জানতেই পারে।আনন্দবাজার
[৫] বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘হাই কোর্ট বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। হাই কোর্টকে অবমাননা করা উচিত নয়। অনেক সময়ই এজলাসে বিচারপতিরা
তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নানা রকম মন্তব্য করে থাকেন। বিচারপতিদের সেই সমস্ত মন্তব্যের উপরও লাগাম টানা অসম্ভব।’
[৬] এর আগে কোভিডের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনকে একক ভাবে দায়ী করে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ানক আকার ধারণ করার পরেও তাদের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের জন্য কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে ‘মানুষ খুন’এর মামলা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রধান মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর পরই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলো কমিশন।