শরীফ শাওন: [৩] সানেম জানায়, প্রণোদনা পাওয়ার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে পোশাক ও বস্ত্র খাত। এ ছাড়া চামড়া, খাদ্য ও আর্থিক খাতে প্রণোদনা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের হার বেশি। একেবারেই পিছিয়ে রয়েছে পাইকারি বিক্রেতা, রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
[৪] বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, শ্রমঘন শিল্প বলেই যে তৈরি পোশাক খাত বেশি প্রণোদনা পায় তা নয়, তাদের কণ্ঠস্বর অত্যন্ত জোরালো। এ কারণেই অন্যদের তুলনায় বেশি প্রণোদনা পায় তারা। তিনি বলেন, কুটির ও ছোট শিল্প আরও শ্রমঘন। তবে তারা সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে।
[৫] রোববার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রণোদনার বিষয়ে জানে না ৯ শতাংশ এবং প্রণোদনা পেয়েছে ২২ শতাংশ।
[৬] সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বিপর্যন্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এগিয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো, পিছিয়ে ছোটরা। জরিপ মতে, ক্ষুদ্র ও ছোট প্রতিষ্ঠানের পুনরুদ্ধারের হার প্রায় ৪৭ শতাংশ, মাঝারিদের ৬৪ এবং বড়দের ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ।
[৭] প্রণোদনা না পাওয়ার বড় কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, অনুদান না হওয়া ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা, প্রতিটি খাতের জন্য আলাদা প্যাকেজ না থাকা এবং ব্যাংকবিষয়ক সেবার জটিলতা ও প্রক্রিয়া বুঝতে না পারা।
আপনার মতামত লিখুন :