রাশিদুল ইসলাম : [২] বায়োএনটেকের প্রধান বিজ্ঞানী উগান সাহিন এবার জোর গলায় বললেন, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনার ডবল ভ্যারিয়ান্ট তথা ভারতীয় প্রজাতি শুধু নয়, আরও তিন সুপার-স্প্রেডার প্রজাতির সংক্রমণও রুখে দিতে পারে। আরএনএ টেকনোলজিতে তৈরি টিকা করোনাভাইরাসের মিউট্যান্ট স্ট্রেনের সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম বলেই দাবি করেছেন তিনি। টিকাটি উৎপাদন ও বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার। দি ওয়াল
[৩] করোনার ডবল মিউট্যান্ট প্রজাতি বি.১.৬১৭ ভারতেই আগে চিহ্নিত করা হয়। এই ভ্যারিয়ান্টে ভাইরাল জিন পর পর দুবার বদলে গিয়ে নতুনভাবে জিনের বিন্যাস তৈরি করেছে। এই নয়া প্রজাতি আরও বেশি সংক্রামক। ব্রিটেন স্ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে গিয়েও এই বদলটা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। পুণের এনআইভি-তে জিনোম সিকুয়েন্স করে দেখা গেছে, দুটি মিউটেশন হচ্ছে ই৪৮৪কিউ এবং এল৪৫২আর। দুবার বদলের ফলে যে নতুন ভ্যারিয়ান্ট তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞানীরা তার নাম দিয়েছেন ই.১.৬১৭ ।
[৪] ডক্টর উগার বলছেন, তাদের আরএনএ ভ্যাকসিন দেহকোষকে ভাইরাল প্রোটিন তৈরিতে বাধ্য করে যাতে তার প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি শরীরেই তৈরি হয়ে যায়। এই আরএনএ ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের নাম বিএনটি১৬২। বিজ্ঞানীর দাবি, এই টিকার ডোজ শরীরে অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স তৈরি করতে পারে, মানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভাইরাল স্ট্রেনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে রাখে। তাই যে কোনও মিউট্যান্ট স্ট্রেনই হোক না কেন, টিকা তার ওপর সমান কার্যকরী হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :