শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২১, ০৪:৫৮ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২১, ০৪:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাজ্জাদ হায়দার: সংবাদমাধ্যম কি এখন গণবিচ্ছিন্ন নয়?

সাজ্জাদ হায়দার: সিনিয়র সাংবাদিক ভাইদের কাছে অবজারভারের গল্প শুনতাম। মালিক ছিলেন কুখ্যাত হামিদুল হক, আইয়ুব খানের মন্ত্রী। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের অবাধ স্বাধীনতা ও সম্মান দিতেন। এ কারণে ওই দৈনিক হয়েছিল আইয়ুববিরোধী মুখপাত্র এবং দুই পাকিস্তানের সেরা কাগজ। অবজারভারের অফিস আমজনতা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যে কেউ চাইলেই নিউজরুমে অবাধে যেতে পারতেন। সম্পাদকের সাক্ষাৎ পাওয়া অসাধ্য ছিল না। আরো যে কেউ আম জনতা হলেও উদিধারীgamekeeper দের পেল্লাই সালাম পেতেন-আপ্যায়িত হতেন চা পানে। ১৯৯০ সালের পরও ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলার বাণীর নিউজরুম আমজনতা অবাধে যেতে পারতেন, নিজেদের সমস্যা বলতে পারতেন। নিউজ পেপারগুলোকে জনতা নিজেদের মনে করতেন। সারা ঢাকার লোক ওই অফিসগুলো চিনত। জনতাই ইত্তেফাক মোড় , দৈনিক বাংলা মোড় তৈরি করেছিল। সাংবাদিকদের দেবতুল্য সম্মান দিতেন।

১৯৯০ সালের পর সব পাল্টে গেলো, মশার কয়েলের মালিক আর অন্যরা চলে এলো এই পেশায়, সেবা খাত পরিণত হলো ব্যবসাখাতে-ঘটল আরো পরিবর্তন। এক সাপ্তাহিক দেয়াল পত্রিকার সাম্পাদক এক কর্পোরেটের পাহারাদার হয়ে দৈনিক প্রকাশ করলেন। নিপুণভাবে সেবাখাতকে ব্যবসাখাতে রূপান্তর করলেন। কর্পোরেটের কারণে আমজনতার জন্য রুদ্ধ হলো নিউজরুম। আগে দৈনিকগুলো চেষ্টা করতো যতো সম্ভব বেশি নিউজ আইটেম ছাপাতে-নব্য কর্পোরেটরা হাঁটলেন উল্টো পথে। চালু করলো স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপ। ফলে দৈনিকগুলোর নিউজ সংখ্যা কমে গেলো আর নিউজে ভিউজ যোগ করে শুরু হলো নিউজ বিকৃতি। কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলা হলো না। নিউজ হয়ে গেলো দরকষাকষির হাতিয়ার, কখনো সরকারের সাথে-কখনো ব্যবসায়িক বিপক্ষদের সাথে। অন্য ব্যবসায়ীরা একতরফা ব্লাকমেইল সহ্য করবে কেন? তারা এই ব্যবসায় নামলেন। সংবাদপত্রগুলো আর জনতার রইলো না।

সম্পাদকগণ হলেন নিছক বেতনভুক্ত কর্মচারী, ব্যবসা ঠিকমতো না হলে বিদায়। জনতাকে অবহেলা করতে নেই-জনতার কাছে এখন আর সাংবাদিকরা দেবতুল্য নন-অন্য পেশার মতো পেশাজীবী। কারওয়ান বাজার নাকি মিডিয়া পল্লী! জনতা কিন্তু এই মিডিয়া পল্লী তেমন চেনে না, সহজে চেনে সোনারগাঁও মোড়। সংবাদমাধ্যম কি এখন গণবিচ্ছিন্ন নয়? অবজারভারের মতো দৈনিক এখন নেই কেন? একজন হামিদুল হক নেই বলে। নাকি সেই সব সম্পাদক নেই, যারা তোষামোদ নয়-কলম, যোগ্যতা আর জনতার পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকতা করতেন-তাদের অভাবে। এ কারণেই এখন চারিদিকে মালিকদের pimp সম্পাদকের ছড়াছড়ি, অন্য সাংবাদিকরা অসহায় শিকার শুধু। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়