ফজলুল বারী: কী ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি বাংলাদেশের মিডিয়ার। আদিষ্ট অথবা প্ররোচিত হয়ে একটি মৃত মেয়ের চরিত্রহরণ করছেন একদল সাংবাদিক! এই মেয়েটির মতো মেয়ে তাদের অনেকের আছে। আমি সম্প্রতি আমার ছেলে হারিয়েছি। কাজেই সন্তান হারানোর কষ্ট আমি জানি। মেয়েটিকে হারিয়ে পরিবারটি যে পরিস্থিতিতে আছে, সে কথা ভেবে একমাত্র নাঈমুল ইসলাম খানের কষ্ট প্রকাশের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া কোথায়? সাংবাদিকদের সংগঠন, মিডিয়া সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন প্লিজ বলুন আপনারা এতে খুশি না বিরক্ত বিক্ষুব্ধ! মানবাধিকার, নারী সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া কোথায়? চুপ করে থাকলে কি নিরাপদ থাকা হবে? যে আইনজীবীরা মেয়েটির পরিবারের পক্ষে দাঁড়াবার ঘোষণা দিয়েছেন, তারা কি বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবেন? আমি জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাকে চিনি, জানি। মরা একটি মেয়েকে নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে এই ভয়ংকর দস্যুপনা অন্তত এই দুজন ছেড়ে দেবেন না। অতএব হুঁশিয়ার।
নির্বাচিত মন্তব্য : প্রিসসিল্লা রাজ- গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো চেতনাগতভাবে ও মানসিকভাবে দেউলিয়া বিত্তের মালিক মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে। ফলে এতে কর্মরত সাংবাদিকরা সবসময় সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না-ও হতে পারেন। তাঁদের সেই সীমাবদ্ধতা দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় মেনে নেওয়া ছাড়া অনেক সময় কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু অত্যন্ত করুণভাবে প্রাণ হারানো একটি মেয়ের চরিত্রহনন করতে হবে কেন? নিজ পেশার প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মানবোধ থাকলে একজন সাংবাদিক তা করতে পারেন না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :