আনু মুহাম্মদ: মিডিয়া কাদের দখলে থাকে, কাদের প্রচারযন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়. তা খুব কম সময়ই মানুষের কাছে ধরা পড়ে। এর আসল চেহারা নানা রঙচঙ আর ঢাকঢোলের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। এক কলেজ ছাত্রীর (আত্ম)হত্যাকাণ্ডে যেভাবে এই জগতের অনেক কর্তাব্যক্তির আসল চেহারা বের হচ্ছে, তা সবসময় ঘটে না। সত্য-মিথ্যার মিশেলে কিংবা নীরবতায় বেশির ভাগ সময় সত্য চাপা পড়ে যায়। এই সময়ে বাঁশখালীর হত্যাকাণ্ডে এসআলম গ্রুপ আর চীনা গ্রুপগুলোর অপরাধ ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে নীরবতা (বা উল্টো গল্প) দিয়ে। রামপাল, মাতারবাড়ী, রূপপুরের মতো সর্বনাশা প্রকল্প দিয়ে বেশ কয়টি গ্রুপ ফুলে ওঠছে, তাই এসব প্রকল্পের বিপদ নিয়ে তাদের টিভি পত্রিকায় নীরবতা আর ‘উন্নয়নের’ বিজ্ঞাপন তাদের প্রধান অস্ত্র।
বন নদী দখল, সর্বজনের সম্পদ লুট, খুনসহ কতো অপরাধ আড়ালে চলে যায় কোম্পানি-মিডিয়া-সরকার যোগসাজসে। সর্বশেষ কলেজ ছাত্রীর অকাল মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত বসুন্ধরা গ্রুপের বসকে বাঁচাতে শুরু হয়েছে কেচ্ছা তৈরি, মূল অপরাধীর কথা ভুলিয়ে দিতে মরে যাওয়া মেয়েটিকে নিয়ে চলছে নিষ্ঠুর অপপ্রচার! কেউ কেউ একদম চুপ মেরে গেছে, এদিকে পরপর দুদিন রূপায়ন গ্রুপের ঝকঝকে পত্রিকা ‘দেশ রূপান্তর’- এ এই গল্প কাহিনির নির্লজ্জ প্রকাশ দেখলাম। আরও শুনলাম একই কাহিনি রেডিমেড ফর্মে বসুন্ধরা গ্রুপ থেকেই সবাইকে গেলার জন্য পাঠানো হয়েছে। কারা গিলেছেন তা উলঙ্গভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, যার যার মিডিয়া মাধ্যমে! তাদের উদ্দেশ্যে অনেকেই ছি! ছি! দিচ্ছেন। বলাই বাহুল্য, এটা ঘৃণা প্রকাশের প্রাথমিক উপায় মাত্র! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :