আশরাফুল নয়ন: [২] নওগাঁয় করোনা ভ্যাকসিন (কোভিড-১৯) টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে পরিমাণ টিকা আছে আর কয়েকদিন কার্যক্রম চালানো যাবে।
[৩] জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও জেলার ১০টি উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ মোট ৩৮টি বুথে টিকা প্রদানের কার্যক্রম করা হচ্ছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। জেলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৭২ জন টিকা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছে ১লাখ ৫৮১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৫০ হাজার ৭৯১ জন।
[৪] প্রথম পর্যায়ে প্রতি ভায়েলে ১০টি ডোজ হিসেবে ৮৪ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা আসে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আসে ১ লাখ ৬৫ হাজার ডোজ। গত ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৬০ ডোজ টিকা মজুদ আছে।
[৫] প্রথম ডোজ যে পরিমাণ টিকা দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে সে পরিমাণ দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে করে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[৬] করোনা মোকাবিলায় প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক ও নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্কর ও মসজিদের ইমামদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরবর্তী ধাপে সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়।
[৭] নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, যতক্ষন টিকা আমাদের হাতে আছে ততক্ষন টিকা প্রদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। সরকার সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা আরো কিছু টিকা পাবো বলে আশা করছি। তাহলে কোনো সংকটই বুঝতে পারব না। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :