মাহিন সরকার : [২] মুম্বাইয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার ইতিহাস গড়েও রেহায় পেলোনা চেন্নাই সুপার কিংস। কাইরণ পোলার্ডের ছক্কা বৃষ্টিতে হার মানতে হলো ধোনিদের। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়ে ঝড়ো ইনিংসে চেন্নাইকে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় উপহার দিয়েছেন কাইরণ পোলার্ড।
[৩] দিল্লিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২১৮ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই। জবাবে ৪ উইকেট হাতে রেখে শেষ বলে জয় তুলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যা আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড।
[৪] ২১৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা শুরুটা খুব খারাপ করেনি। কিন্তু ৭১, ৭৭ এবং ৮১ রানে পরপর মুম্বাইয়ের তিন উইকেট পড়ে যায়। রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব এবং কুইন্টন ডি’কক-কে ফিরিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল চেন্নাই।
[৫] কিন্তু কায়রন পোলার্ড বেশীক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে দেননি তাদের। তাঁর তাণ্ডবে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। ঝড় তুলে মাত্র ১৭ বলে তুলে নেন আসরের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৮৭ করেন তিনি। ৮টি ছক্কা হাঁকান। সঙ্গে ছ’টি চার মারেন। একাই দায়িত্ব নিয়ে মুম্বাইকে জিতিয়ে দেন।
[৬] এর আগে টস জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফর্মে থাকা ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে আউট করেন ট্রেন্ট বোল্ট। চার রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলি। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। ডু প্লেসি ও মঈন যোগ করেন ১০৮ রান। ১০.৫ ওভারে মঈন আলিকে আউট করেন জশপ্রীত বুমরাহ। পাঁচটি করে চার ও ছক্কা মেরে ৩৬ বলে ৫৮ রান করে কট বিহাইন্ড হন মঈন।
[৭] এরপর দ্বাদশ ওভারে পরপর দুই বলে ডু প্লেসি ও সুরেশ রায়নার উইকেট তুলে নেন কায়রন পোলার্ড। ২টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫০ করে আউট হন দু প্লেসি। টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি এল সিএসকে-র প্রোটিয়া ওপেনারের ব্যাট থেকে। নিজের ২০০তম আইপিএল ম্যাচে রায়না করেন চার বলে ২। ১১২ রানে মঈনের উইকেট হারানোর পর ১১৬ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিএসকে।
[৮] এরপর দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার তুলে নেন আম্বাতি রায়ুডু ও রবীন্দ্র জাদেজা। ১৩.২ ওভারে পোলার্ডের বলে জাদেজাকে আম্পায়ার লেগ বিফোর দেন। তবে রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান তিনি। পরের বলেই ঝাঁপিয়ে পড়েও তাঁর ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন পোলার্ড। আম্বাতিই মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন। ২৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে বিশাল সংগ্রহ এনে দেন রায়ুডু।
[৯] এদিন বুমরাহ আইপিএলে নিজের সবচেয়ে খারাপ বোলিং করলেন। ৪ ওভারে দিলেন ৫৬। পেলেন একটি উইকেট। ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন পোলার্ড। - ক্রিকইনফো