মাসুদ আলম: [২] চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনজন কর্মক্ষেত্রে ও একজন কর্মক্ষেত্রের বাইরে প্রাণ হারান। দুইজন আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও নিহতদের মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং তিনজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুইজন এবং অজ্ঞাতনামা একজন তীব্র মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ছয়জন।
[৩] শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এ তথ্য প্রকাশ করেন। দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। ঢাকাসহ সারাদেশে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে, তাদের ৯৫ ভাগের বেশিই নারী। বিলস্-এর জরিপে দেখা গেছে যারা হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের অধিকাংশের বয়স ১৬ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে।
[৪] সংগঠনটি বলছে, বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। অনেক নির্যাতনের ঘটনায় অর্থ ও চাপের মুখে সমঝোতা করা হয়। গৃহকর্মী বা তাদের পরিবারের সদস্য অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় মামলা মকদ্দমায় যেতে চান না বা যেতে সাহস পান না। প্রভাবশালীরা অনেক নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফেলেন।
[৫] বিলস সুনীতি প্রকল্প এবং গৃহ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এসব ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। এছাড়া মনিটরিং সেলের মাধ্যমে ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ এবং সার্বিক সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।