লিহান লিমা: [২] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের গঠিত মহামারী নিয়ন্ত্রণ বৈজ্ঞানিক প্যানেল (ইনসাকোগ) মার্চের শুরুতে সতর্ক করে বলেছিলো, দেশে করোনার নতুন ধরণ ছড়াতে পারে এবং সংক্রমণ দ্রæত বাড়তে পারে। ওই প্যানেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ বিজ্ঞানী রয়টার্সকে এই তথ্য জানান।
[৩] মোদি সরকারের গঠিত এই প্যানেলের ১০ বিজ্ঞানী ও গবেষক ফেব্রæয়ারিতেই করোনার নতুন ধরণ বি.১.৬১৭ শনাক্ত করেন। এরপর তারা এটি ভারতীয় জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ১০ মার্চের পূর্বেই অবহিত করেন এবং সতর্ক করেন। গবেষণার সম্পূর্ণ তথ্য ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে গবেষকদল ভাইরাসের নতুন ধরণ ‘অত্যন্ত উদ্বেজনক’ বলে একটি প্রকাশ্য বিবৃতি তৈরি করেন। ২৪ মার্চ এই বিবৃতি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশ করলেও সেখান থেকে ‘উচ্চ সতর্কতা’ ও ‘উদ্বেগজনক’ এই শব্দগুলো মুছে ফেলা হয়।
[৪]ইনসাকোগ প্যানেলের চেয়ারম্যান শাহিদ জামিল বলেন, ‘বিজ্ঞানী হিসেবে আমরা প্রমাণ সরবরাহ করেছি, নীতি-নির্ধারণ সরকারের দায়িত্ব ছিলো, কিন্তু তারা সেটি করে নি।’
[৫]এই প্যানেলের চার বিজ্ঞানী বলেন, নতুন ধরণ নিয়ে উদ্বেগ জানানো সত্তে¡ও কেন্দ্রীয় সরকার ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করার বিষয়টি ভাবে নি। লাখ লাখ মানুষ কোনো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করা ছাড়াই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ ভারতের বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোই জনসমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।
[৬]বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল এই দেশটি এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করছে। শুক্রবার ভারতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্বের ১৭টি দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।