তৌহিদুর রহমান : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গাজীরবাজারের আত্মপ্রত্যয়ী যুবক মোঃ ইব্রাহিম ভূঁইয়া লিটন।একের পর এক উদ্যোগ নিয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।
[৩] দেশী-বিদেশী ফল ও মাছ চাষ করে সাফল্য পাওয়ার পর এবার বাড়ির আঙ্গিনায় হাঁসের খামার করে কয়েক লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই স্বপ্নবাজ যুবক । উপজেলার গাজীর বাজরের আলীর ছেলে মোঃ ইব্রাহিম ভূঁইয়া লিটন। বিএ পাস করার পর চাকুরীর পিছে না ছুটে নিজে স্বাবলম্বি হতে চেষ্টা শুরু করেন। সাফল্যও আসে খুব তাড়াতাড়ি।
[৪] ইতিমধ্যেই এলাকায় পাঁচটি কলাবাগান, দুটি লিচু বাগান, একটি পেয়ারা বাগান ও তিনটি মাছের খামারের পর এবার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় দুটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেছেন।
[৫] সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহিম ভূইয়া লিটন জানান, হাঁস পালনের জন্য গত কয়েক মাস আগে বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি এবং পতিত জায়গায় আরো একটি খামার গড়ে তুলি। তারপর সিলেট থেকে তিনদিন বয়সের ক্যাম্পবেল জাতের হাঁসের ছানা এনে লালন-পালন শুরু করি।
[৬] বাচ্চা কেনা থেকে শুরু করে আমার সর্বসাকুল্য খরচ হয় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। আশা করি কিছিদিন পরে এই হাঁস স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ হবে।তিনি আরো জানান, প্রথম দিকে ছানাগুলো মুড়ি ভিজিয়ে খাওয়াতাম।
[৭] একটু বড় হলে ফিড দেওয়া হয়। আর এখন হাঁসগুলোকে খাবার হিসাবে গম ও ভ’ট্টা দিতে হয়। প্রচন্ড তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পুকুর শুকিয়ে গেছে। যে কারণে হাঁসগুলো আটকে রাখতে হয়। তাই খাবার খরচও অনেক বেড়ে গেছে। হাঁসগুলোকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। তবে রোগ বালাই তেমন নেই বললেই চলে।
[৮] উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কামাল বাশার বলেন, হাসের খামার করে অনেক যুবকই স্বাবলম্বি হচ্ছেন। শিক্ষিত যুবক লিটনও তাদের একজন। আমাদের এখানে হাঁস পালনে যে কোনো ধরনের পরামর্শ দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :